স্টাফ রিপোর্টার ::
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাগলা-বীরগাঁও সড়কের বেহাল অবস্থায় দুর্ভোগের শেষ নেই স্থানীয়দের। অপেক্ষাকৃত নিচু সড়কে বর্ষায় পানি উঠায় প্রতিদিন সীমাহীন কষ্ট সহ্য করে চলাচল করতে হয় পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের ৭টি গ্রামের অন্তত ২০ হাজার মানুষকে। জলমগ্ন সড়কে চলাচলের ভোগান্তির সাময়িক সমাধানে গ্রামের যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সড়কের বীরগাঁও অংশে নির্মাণ করা হয়েছে তিনটি সাঁকো। শনিবার দিনব্যাপী সাঁকো নির্মাণ কাজ করেন এলাকার ৫-৭ জন যুবক। সড়কের পূর্বপাড়া থেকে কবরস্থান মোড় পর্যন্ত বৃহৎ তিনটি সাঁকো নির্মাণের ফলে যাতায়াতে এলাকাবাসীর কষ্ট লাঘব হবে বলে জানান স্থানীয়রা। এদিকে, স্থানীয় যুবক ও প্রবাসীদের উদ্যোগে সাঁকো নির্মাণকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন মহল।
জানাযায়, দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলা-বীরগাঁও সড়ক উপজেলার একটি ব্যস্ততম সড়ক। ৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে সড়কটি সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে চলাচলে চরম বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এই সড়ক দিয়ে পূর্ব বীরগাঁও, পশ্চিম বীরগাঁও ও পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের অন্তত ৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। সড়কের বীরগাঁও অংশের লাউয়া নদী থেকে পূর্বপাড়া কবরস্থানের মোড় পর্যন্ত কাঁচা রাস্তায় বর্ষায় দুই থেকে তিন মাস পানি থাকে। পাখিমারা হাওরের ঢেউয়ের তাণ্ডবে সড়কের কবরস্থান মোড় থেকে গুইরা খাল পর্যন্ত সড়কের মাটি বিলীন হয়ে গেছে। সড়কে একাধিক সাঁকো নির্মাণ করে কোনোরকম চলাচল করছেন এলাকাবাসী। জলমগ্ন সড়কে নতুন করে আরও তিনটি সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে।
সাঁকো নির্মাণে উদ্যোক্তাদের মধ্যে মো. রিফান আহমদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মানুষ কষ্ট করে চলাচল করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে পানি উঠায় পায়ে হেঁটে গ্রামের ভেতরে যাওয়া যায় না। তখন নৌকাই ভরসা। শিশু, নারী ও বয়স্ক লোকরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। এলাকাবাসীকে এই কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে প্রবাসী ও স্থানীয় যুবকদের সহযোগিতায় তিনটি সাঁকো নির্মাণ করে দিয়েছি আমরা। আশা করছি, মানুষের এই কষ্ট লাঘবে স্থায়ী একটি সমাধান করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।