সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সীমান্তবর্তী ভারতীয় রাজ্যগুলোতে শুরু হয়েছে অতি প্রবল বর্ষণ। ফলে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বড় নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
জানা গেছে, মেঘালয়, অরুণাচল, জলপাইগুড়ি, সিকিমে বৃষ্টিপাত বেড়েছে। মেঘালয়ে একদিনে বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ৩০০ মিলিমিটার ছাড়িয়ে গেছে। অন্যান্য স্থানেও হচ্ছে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ। ফলে বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, সুরমার মতো বড় নদ-নদীর পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, চেরাপুঞ্জিতে একদিনে ৩১৬ মিলিমিটার, পাসিঘাটে ১৭২ মিলিমিটার জলপাইগুড়িতে ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাত বেড়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতেও। সিলেটে একদিনে ১০৪ মিলিমিটার, ১৬৬ মিলিমিটার, লালাখালে ১২১ মিলিমিটার বর্ষণ হয়েছে।
এই অবস্থায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামী বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে যা মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুশিয়ারা ব্যতীত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও ভারত আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, আগামী বুধবার নাগাদ দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা প্রদেশের স্থানসমূহে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস আছে। এর ফলে এই সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকা এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পার্বত্য অববাহিকার প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
পাউবোর পর্যবেক্ষণাধীন বিভিন্ন নদ-নদীর ১০১ পয়েন্টের মধ্যে পানির সমতল বেড়েছে ৫১টিতে। কমেছে ৪৬টিতে, অপরিবর্তিত আছে ৩টি পয়েন্টের পানির সমতল। একটি পয়েন্টে পানির সমতলের তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়নি।