1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণে সফল আওয়ামী লীগ

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৩ জুন, ২০২১

বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরনো দল আওয়ামী লীগ। এমনকি উপমহাদেশের প্রাচীনতম দলগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ বুধবার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভলগ্নে দলটির নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা।
এ কথা বলতে দ্বিধা নেই যে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। দেশের উন্নতি-অগ্রগতি অনেক কিছুই এসেছে এই দলের হাত ধরে। বর্তমান সময়ে দেশে যে উন্নয়নের জোয়ার বইছে তা-ও হচ্ছে একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় আছে বলে। এককথায় বলতে গেলে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণে সফল হয়েছে। এ জন্যই জনগণ আ.লীগকে বার বার রাষ্ট্রক্ষমতায় বসিয়েছে।
ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে যখন দলটি গড়ে ওঠে, তখন জনস¤পৃক্ততা ছিল। সোহরাওয়ার্দীর সময়ে কিছু সমস্যা ছিল। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর রাতারাতি জনপ্রিয় দলে পরিণত হয় আওয়ামী লীগ। সেই জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতা আওয়ামী লীগ আজ জনগণের দলে পরিণত হয়েছে। আর এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছেন বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা। দীর্ঘ সময় দলের প্রধানের দায়িত্বে থেকে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তাকে অনেক কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। কারাবরণ, জীবনের ঝুঁকি, এমনকি মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়া ছাড়াও অনেক চড়াই-উৎরাই, ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে তিনি আওয়ামী লীগকে আজকের অবস্থানে এনে দাঁড় করিয়েছেন। তার সফল নেতৃত্বের কারণেই আওয়ামী লীগ চার বার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার সুযোগ পেয়েছে এবং বর্তমানেও ক্ষমতাসীন।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের এ সময়ের দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নতুন মাত্র সূচিত হয়েছে। তার শাসনামলেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি শেখ হাসিনার হাত দিয়েই বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে, বাংলাদেশ ডিজিটাল দেশে পরিণত হয়েছে এবং উন্নত তথ্যপ্রযুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত শত্রু ও দেশি-বিদেশি ঘাতকচক্র সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে তখন দেশে ফিরতে দেওয়া হয়নি। দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে ভারত থেকে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে তার দল আওয়ামী লীগ। জেল-জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হন দলের নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও প্রকট আকার ধারণ করে। দ্বিধাবিভক্ত ও ব্র্যাকেটবন্দি হয়ে পড়ে দল। এ প্রেক্ষাপটে নির্বাসিত জীবনে ভারতে অবস্থানকালে ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। ওই বছরের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ওই বছর ১৭ মে তিনি দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। শুরু হয় শেখ হাসিনার আরেক সংগ্রামী জীবন।
দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং নানা মুখি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগকে আজকের অবস্থানে দাঁড় করিয়েছেন তিনি। এ সময়ের মধ্যে বহু বার তার প্রাণনাশের চেষ্টা হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ হামলায় তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগের ২৩ জন নেতাকর্মী শহীদ হন।
এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দল ও সরকারের নেতৃত্বে থেকে বাংলাদেশের জন্য বড় বড় অর্জনও বয়ে এনেছেন শেখ হাসিনা। আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ তার নেতৃত্বেই এগিয়ে যাচ্ছে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা তিনিই দিয়েছেন। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তার কর্মসূচিগুলো জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে।
আমরা মনে করি, স্বাধীনতার স্বপক্ষের দল আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনায় আছে বলেই দেশ আজ উন্নয়ন-অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের হাত ধরে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক – এই প্রত্যাশা করি।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com