সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পরিবেশ দূষণ রোধে সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুতের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্যে হাকালুকি হাওরসহ অন্যান্য জলাভূমি সমৃদ্ধ অকৃষি জমিতে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব স্বাগত জানাবে সরকার।
রোববার (২০ জুন) সচিবালয়স্থ অফিস কক্ষে ইলিরিস এনার্জি গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট ডেভিড টেইলরের নেতৃত্বাধীন ইলিরিস এনার্জি ফর এশিয়ার প্রতিনিধিদল সোনাদিয়া দ্বীপে নির্মাণাধীন ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাস¤পন্ন সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের পরিবেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনাকালে ইলিরিস এনার্জি গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট ডেভিড টেইলর জানান, তার সংস্থা সোনাদিয়া দ্বীপ ও চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাস¤পন্ন দুটি সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ক্রমান্বয়ে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুটো ১০০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে।
তিনি জানান, তাই এ দুটি সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের জন্য পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন স¤পাদনে সহায়তার জন্য পরিবেশমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন।
উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের যে সকল স্থানে শক্তিশালী সূর্যরশ্মি পাওয়া যাবে সেখানেই তাদের এ ধরনের আরো সৌরবিদ্যুৎ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
পরিবেশমন্ত্রী জানান, উপকূলীয় এলাকা দুর্যোগপ্রবণ হওয়ায় হাকালুকি হাওরসহ অন্যান্য বৃহৎ জলাভূমি সমৃদ্ধ অকৃষিক্ষেত্রে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব এলে সরকার তাদের স্বাগত জানাবে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ক্লাইমেট ভালনার্যাবল ফোরামের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকার জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়া হতে সরে আসার চেষ্টা করছে। পর্যায়ক্রমে জীবাশ্ম জ্বালানির শূন্য ব্যবহারের নীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তার সরকার। তাই প্রচলিত তাপ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের পরিবর্তে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন প্রস্তাব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বাংলাদেশ সরকার।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, ইলিরিস এনার্জি ফর এশিয়ার চিফ অপারেটিং অফিসার জেরি প্রাইস, কান্ট্রি ডিরেক্টর জাকির হোসেন খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।