সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেছেন, আমাদের শেয়ারবাজারে লুটপাট হয়, অর্থমন্ত্রী খুঁজে পান না। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বলছে, পাঁচ বছরে এক হাজার ২৪টি অর্থপাচারের ঘটনার প্রমাণ মিলেছে। এটাতো সরকারি প্রতিষ্ঠানেরই তথ্য। তাহলে মন্ত্রী পান না কেন? তাই সাফাই না গেয়ে যারা দুর্নীতি করছে তাদেরকে ধরেন। এই করোনাকালে এসে অন্তত বিবেক জাগ্রত হোক। এই দুর্নীতিবাজদের ধরেন। অবৈধ টাকাকে কখনোই সাদা করার সুযোগ দেয়া উচিত না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার (১৬ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আলোচনায় এই কথা বলেন তিনি।
বক্তব্যের শুরুতে ক্ষোভ প্রকাশ করে পীর ফজলুর রহমান বলেন, আমরা বাজেট বক্তৃতা দিচ্ছি। কিন্তু অর্থমন্ত্রী নাই। গতকালও (মঙ্গলবার) আমরা তাকে সংসদে পাই নাই।
তিনি বলেন, দেশ থেকে কারা টাকা পাচার করছে, সে তালিকা অর্থমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের কাছে চান। সংসদ সদস্যরা কীভাবে তালিকা দেবে। তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে। তিনি তালিকা দেবেন কারা অর্থপাচার করে। পিকে হালদার টাকা নিয়ে বিদেশে গিয়ে ঘুমায়, আর তার বান্ধবীদের এখানে জেলে ঘুম পাড়ান। এটাতো আমরা চাই নাই। আমরা চেয়েছি পিকে হালদারদের মতো লোকরা যেন অর্থ নিয়ে বাইরে যেতে না পারে।
পীর ফজলুর রহমান বলেন, প্রত্যেকটা অডিট রিপোর্টে আছে, কীভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে। সেখান থেকে তিনি (অর্থমন্ত্রী) কারা টাকা পাচার করে তথ্য নিতে পারেন। সিএজির গত চার বছরের অডিট প্রতিবেদন বলছে, ৩১ হাজার কোটি টাকা লুট। চার বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে জালিয়াতি, সরকারি অর্থের মোট অনিয়মের ৫২ শতাংশই ব্যাংকিং খাতে। গত ৯ বছরে অনিয়ম বেড়েছে ১৬ গুণ। এটি অডিটর জেনারেলের চার বছরের অডিট রিপোর্ট থেকেই এসেছে। এখান থেকে উনি পান না কেন, এই টাকা বিদেশে যায়।
শিক্ষায় কর ও মোবাইলে অর্থ লেনদেনে করারোপের সমালোচনা করেন পীর ফজলুর রহমান। তিনি ওই প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, মানুষের চিকিৎসার নিশ্চয়তা দেন। টিকা নিয়ে আমরা কোনো কথা শুনতে চাই না। টিকা নিশ্চিত করতে চাই। মানুষ যদি টিকা না পায়, মানুষ যদি না বাঁচে, তবে বাজেট বাস্তবায়ন হবে কীভাবে? টিকা নিশ্চিত করতে হবে।