স্টাফ রিপোর্টার ::
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম দেশের শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধশালী জাতি গঠনে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে। অদূর ভবিষ্যতেও মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে।
বৃহ¯পতিবার (১৭ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলন-২০২১-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, এটি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একটি অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্প। হিন্দু অধ্যুষিত ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও সচেতনতা সৃষ্টিতে এ প্রকল্পটি কার্যকর ভূমিকা রাখছে। মাঠপর্যায়ে এ প্রকল্পের আবেদন ও গ্রহণযোগ্যতা অনস্বীকার্য। এ প্রকল্পকে সামনে এগিয়ে নিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক সহায়তা ও উৎসাহ প্রদান করবে।
মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব রনজিত কুমার দাসের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব নুরুল ইসলাম, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত পাল, সচিব ড. দিলীপ কুমার ঘোষ, বিএসএমএমইউ-এর সাবেক উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত, সিনিয়র সাংবাদিক শ্যামল সরকার প্রমুখ।
জাতীয় এ সম্মেলনে দেশের ৬৪ জেলা থেকে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের নেতারা অংশ নেন।
সুনামগঞ্জ প্রান্তে যুক্ত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিজন কুমার সিংহ, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান (বিপিএম), সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান শাহারিয়ার, পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, ডিপিও আব্দুর রহমান, উপজেলা মনিটরিং কমিটির সদস্য শিক্ষাবিদ যোগেশ্বর দাস, মশিপশি প্রকল্পের পরিচালক রবীন আচার্য্য (এপিডি), সুনামগঞ্জ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাড. বিমান কান্তি রায়, শ্রীশ্রী দুর্গাবাড়ি মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুবিমল চক্রবর্তী চন্দন, সাংবাদিক কুলেন্দু শেখর দাস তালুকদার, মশিগশি সিও যীশু কুমার দাস, মশিগশির এফ এস পুল্লাদ কুমার, অভিভাবক রিনি বিশ্বাস, কেন্দ্র শিক্ষক জবা ঘোষ প্রমুখ।