সারাদেশেই যেন সর্দি, জ্বর, কাশি, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকায় এর প্রকোপ বেশি। করোনা ভাইরাসের অতিসংক্রামক ধরণ ডেল্টার সাধারণ কিছু উপসর্গ শনাক্তের কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। এগুলো হল- মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, সর্দি এবং জ্বর। যুক্তরাজ্যে কোভিড সি¤পটম নামে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে করোনার ডেল্টা ধরণে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এসব উপসর্গই বেশি দেখা যাচ্ছে। করোনার ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত হলে অত্যধিক ঠাণ্ডা অনুভব হতে পারে। তবে রোগী খুব বেশি অসুস্থতা বোধ নাও করতে পারে। তবে তারা সংক্রামক হয়ে উঠতে পারে এবং অন্যদের জন্য বেশি ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এসব হলে করোনা পরীক্ষা করা জরুরি বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার ডেল্টা ধরণ একটু ভিন্নভাবে কাজ করছে। লোকজন ভাবতে পারে জ্বর কাশি শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া, ক্ষুধামন্দা, মাথাব্যথা ইত্যাদি মৌসুমী উপসর্গ কিন্তু আসলে তা না। এগুলো করোনায় আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম লক্ষণ। এমন পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে জ্বর বা অন্যান্য মৃদু উপসর্গ দেখা গেলেই হেলাফেলা না করে পরীক্ষা করাতে হবে। শুধু তাই নয় পরীক্ষা করার পর আইসোলেশনে থাকতে হবে রেজাল্ট নেগেটিভ না হওয়া পর্যন্ত।
গ্রামের অসহায় মানুষের এক ধরনের ভীতি রয়েছে যে, পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এলে ১৪ দিনের আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে। তারা কাজে যেতে পারবে না, আয় না করলে খাবে কি? তাই অনেকের মধ্যে এসব উপসর্গ থাকলেও গোপন রাখার চেষ্টা চলে। এক্ষেত্রে আমাদের জনপ্রতিনিধি, শিক্ষিত ও সুধীজনসহ সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সরকারকে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।