1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৫ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

পরিকল্পনামন্ত্রীর সাথে কোন দ্বন্দ্ব নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৫ জুন, ২০২১

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
পরিকল্পনা মন্ত্রী আব্দুল মান্নান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের মধ্যে আন্তরিক স¤পর্ক বিদ্যমান। দীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে তাঁরা অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাঁদের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব, মতবিরোধ ও দূরত্ব নেই। সরকারের সকল উন্নয়ন কাজ তারা এক হয়ে করে যাচ্ছেন। সিলেটের উন্নয়নে একজোট হয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
সোমবার (১৪ জুন) সকালে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সিলেটের দৈনিক জালালাবাদ পত্রিকায় ১২ জুন প্রকাশিত “দুই মন্ত্রীর দ্বন্দ্বে থমকে যাচ্ছে সিলেটের উন্নয়ন” শীর্ষক সংবাদের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। সংবাদটি স¤পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। হীন উদ্দেশ্যে এ বানোয়াট গল্প সৃষ্টি করা হয়েছে। এধরনের সংবাদ পরিবেশনের সময় প্রতিবেদকের অধিক দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।
সিলেট-সুনামগঞ্জের রেললাইনের স্থাপনের জন্য সুনামগঞ্জের পাঁচজন সংসদ সদস্যের চিঠি সমর্থন করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর লেখা ডিও লেটারের বিষয়টি এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। রেল ও সড়কপথে অধিক যোগাযোগ বৃদ্ধি ও আন্তঃসংযোগ বৃহত্তর সিলেটের জন্য মঙ্গলজনক হবে বলে ড. মোমেন মনে করেন।
প্রসঙ্গত, ছাতক, সুনামগঞ্জ ও মোহনগঞ্জের মধ্যে রেলপথ স্থাপন করার দাবি জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের কাছে দেওয়া এক চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ দাবি জানানো হয়। রেলমন্ত্রীর উদ্দেশে লেখা চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ছাতক-সুনামগঞ্জ-মোহনগঞ্জ অঞ্চলগুলোতে রেলপথ স্থাপনের লক্ষ্যে সুনামগঞ্জের পাঁচ সংসদ সদস্য গত ৬ জুন আপনার নিকট যে আধাসরকারি পত্র প্রেরণ করেছেন, তা আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশের প্রত্যেকটি জেলায় রেলপথের অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপনের কাজ শুরু করেছে। এর মাধ্যমে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার এক নতুনমাত্রা যোগ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এসব স্থানে (ছাতক-সুনামগঞ্জ-মোহনগঞ্জ) রেলপথ স্থাপন করা হলে তা দেশের সামগ্রিক যোগাযোগব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে বলে আমি আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছাতক-সুনামগঞ্জ-মোহনগঞ্জ রেলপথ স্থাপনের ঘোষণা দেন এবং পরে রেলওয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা কয়েক দফা এলাকাটি সরেজমিন পরিদর্শন ও সমীক্ষা করেন। সমীক্ষা অনুযায়ী, এ এলাকায় লাইনমেন্টও তৈরি করা হয়েছিল।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ অবস্থায় সুনামগঞ্জের পাঁচ সংসদ সদস্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে ছাতক সদর-দোয়ারাবাজার-সুনামগঞ্জ সদর থেকে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ স্থাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। চিঠির অনুলিপি সুনামগঞ্জের পাঁচ সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, ড. জয়া সেনগুপ্তা, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, শামীমা শাহরিয়ারের কাছেও দেওয়া হয়েছে।
অনেকে মনে করেন রেলপথে এমন কানেকটিভিটি বৃহত্তর সিলেটের সঙ্গে নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন ভারতের উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আঞ্চলিক যোগাযোগের ক্ষেত্রেও বিশেষ অবদান রাখবে।
জানা গেছে, ১৯৫৪ সালে সিলেট থেকে রেললাইন স্থাপিত হয় জেলার শিল্পনগরী খ্যাত ছাতকের সঙ্গে। এরপর থেকে হাওরের এ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিলো ছাতক থেকে সুনামগঞ্জ হয়ে মোহনগঞ্জ পর্যন্ত রেলপথ যোগাযোগ স্থাপনের। স্বাধীনতার পর এ দাবিটি জোরালো হয় কিন্তু কোনো সরকারই এতে কর্ণপাত করেনি। অবশেষে ২০১১ সালে এ জেলা থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রয়াত জাতীয় নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রেলমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিলে এ দাবিটি প্রাণ ফিরে পায়। ২০১২ সালে ছাতক শহরে তাকে দেয়া এক গণসংবর্ধনায় লাখো মানুষের উপস্থিতিতে তিনি ছাতক-সুনামগঞ্জ-মোহনগঞ্জ রেলপথ নির্মাণের ঘোষণা দেন।
গত সোমবার (৭ জুন) সুনামগঞ্জের পাঁচজন সংসদ যথাক্রমে মুহিবুর রহমান মানিক, পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, জয়া সেন গুপ্তা ও শামীমা শাহরিয়ার রেলমন্ত্রী বরাবর একটি ডিও লেটার দিয়েছেন। এমপিরা বলছেন, আগের অ্যালাইনমেন্ট অনুযায়ী কাজ না হলে ছাতক থেকে সুনামগঞ্জ জেলা সদর পর্যন্ত রেললাইন টানার যে সুলভ ও সহজ পথটি রয়েছে, সেটি রুদ্ধ হয়ে যাবে। ছাতক থেকে মাত্র ২২ কিলোমিটার লাইন টানলেই রেলের সঙ্গে সহজে যুক্ত হবে সুনামগঞ্জ জেলা সদর। এর বিপরীতে ঘোরানো-পেঁচানো ৫০ কিলোমিটার হাওরের দুর্গম এলাকা দিয়ে নির্মাণ করতে হবে রেললাইন। ফলে নির্মাণ ব্যয় কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com