1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১১ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

পরিকল্পনামন্ত্রীর প্রচেষ্টায় পূরণ হচ্ছে লাখো মানুষের স্বপ্ন

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৫ জুন, ২০২১

হোসাইন আহমদ ::
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব-পশ্চিমের মিলন সেতু “নোয়াখালী বাজার-জামলাবাজ সেতু”র কাজ শেষ করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দুই পাড়ে সেতুর মুখে অ্যাপ্রোচে মাটি ভরাট ও দিরাই-মদনপুর রাস্তার সাথে সেতুর সংযোগ সড়কের বাস্তবায়ন হলেই কালনী নদীর উপর সরকারের ১৩ কোটি ৯৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ২৮৩ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি শীঘ্রই পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ¦ এমএ মান্নান এমপি উদ্বোধন করবেন বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।
জানা যায়, উপজেলার পূর্ব-পশ্চিমকে জয়কলস ও পাথারিয়া ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত কালনী নদী বিভক্ত করে রেখেছে। এই এই সেতু নির্মাণের ফলে পশ্চিম পাড়ের মানুয়ের অন্তত ২০ কি.মি. পথ কমবে উপজেলা সদরে আসার ক্ষেত্রে। তেমনিভাবে পূর্বাঞ্চলের মানুষেরও যাতায়াত সহজ হবে। এই সেতু যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জয়কলস, মানিকপুর, মির্জাপুর, হাসনাবাজ গ্রাম সহ পূর্ব পাগলা, পশ্চিম পাগলা, দরগাপাশা ইউনিয়নসহ পশ্চিমাঞ্চলের শিমুলবাক, পাথারিয়া ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষের।
বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিগত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আলহাজ্ব এম এ মান্নান “নোয়াখালী বাজার জামলাবাজ সেতু” নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এ ব্রিজটি নির্মাণের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। সেতুটি নির্মাণের ফলে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র শান্তিগঞ্জ বাজার থেকে মাত্র ১৫ মিনিটে নোয়াখালি বাজার-জামলাবাজ সেতু হয়ে শিমুলবাক ইউনিয়নের যেকোন গ্রামে পৌঁছা যাবে।
আগে যেখানে শিমুলবাক ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নোয়াখালী বাজার, নোয়াখালী বাজার থেকে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মদনপুর হয়ে ২০ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে হতো। কিন্তু পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নানের প্রচেষ্টায় এই সেতুটি নির্মাণের ফলে মাত্র ১৫ মিনিটে উপজেলা সদরে যাওয়া সম্ভব হবে। এ ব্রিজটি যান চলাচলে উন্মুক্ত করা হলে ওই এলাকার লাখো মানুষ অতিসহজে অল্প সময় ও অল্প টাকা ব্যয় করে জামলাবাজ-হাসনাবাজ-মির্জাপুর-উজানীগাঁও রাস্তা দিয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা সদর হয়ে সিলেট তথা যে কোন গন্তব্যে যেতে পারবেন।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জের সুধীজনরা বলছেন, উপজেলার শিমুলবাক ও পাথারিয়া ইউনিয়নে কোন কলেজ নেই। যার ফলে শিক্ষার্থীরা দিরাই ও সুনামগঞ্জ শহরমুখী ছিলো। এখন থেকে শান্তিগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, আব্দুল মজিদ কলেজ, পাগলা স্কুল এন্ড কলেজে যেতে শিক্ষার্থীরা আগ্রহী হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। এছাড়াও নোয়াখালী বাজারের আশপাশে জামলাবাজ, মির্জাপুর, হাসনাবাজ, ফতেপুর মানিকপুর গ্রামের অধিকাংশ মানুষরা বাজারে এসে বাজার করতে পারবেন।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) অফিস সূত্রে জানা যায়, জয়কলস ইউনিয়নের নোয়াখালী-জামলাবাজ ব্রিজটি কালনী নদীর উপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সিআইবিআরআর প্রকল্পের আওতায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ১৩ কোটি ৯৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ২৮৩ টাকা ব্যয়ে ১৬০ মি. লম্বা ব্রিজটি নির্মাণকাজ শুরু হয়। প্রকল্পটির কাজ ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন প্রতিকূলতায় ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে ব্রিজটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। শীঘ্রই ব্রিজটি উদ্বোধনের মাধ্যমে যান চলাচলের সুযোগ করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অফিস।
উপজেলার নোয়াখালী বাজার বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুল বাছিত সুজন বলেন, নোয়াখালী-জামলাবাজ সেতুটি আমাদের স্বপ্নের সেতু। আমাদের এলাকার কৃতীসন্তান পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এমএ মান্নান এমপি’র প্রচেষ্টায় লাখো মানুষের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। ব্রিজটি নির্মাণের ফলে অল্প সময়ে মধ্যে নোয়াখালী-জামলাবাজ-উজানীগাঁও দিয়ে অনেক সহজেই যাতায়াত করতে পারবো। আমাদের দুর্ভোগ আর থাকবে না।
উপজেলার জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাসুদ মিয়া বলেন, সেতুটি নির্মাণের মাধ্যমে সজ্জন রাজনীতিবিদ পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের ওয়াদা পূরণ হয়েছে। এই সেতুটি নির্মাণের মাধ্যমে উপজেলা সদরের সাথে পশ্চিমপাড়ের পাথারিয়া, শিমুলবাক ইউনিয়নের সাথে প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।
শিমুলবাক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান জিতু বলেন, নোয়াখালী বাজার জামলাবাজ সেতু নির্মাণের ফলে দিরাই, জামালগঞ্জ ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জের সাধারণ জনসাধারণের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে। স্বাধীনতার পর অনেক জনপ্রতিনিধি এখানে নির্বাচিত হয়ে গেছেন। কিন্তু কোনো জনপ্রতিনিধি প্রতিশ্রুতি দিয়ে রক্ষা করতে পারেননি। তা আজ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের দ্বারা সম্ভব ও বাস্তবায়ন হয়েছে।
পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আমিনুর রশীদ আমিন বলেন, এই সেতুটি নির্মাণ করা দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। মন্ত্রী মহোদয়ও জামলাবাজ-নোয়াখালি বাজার সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তা আজ বাস্তবায়িত হয়েছে। আমার ইউনিয়ন পাথারিয়ার লোকজন উপজেলা সদরে অতি কম সময়ে পৌঁছে যেতে পারবেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এমএ মান্নান এমপি বলেন, নির্বাচনী এলাকার জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলাম ব্রিজটি করে দেব। তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। আগামী দিনেও নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নিয়ে জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জবাসীকে উপহার দিব।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com