হোসাইন আহমদ ::
সুনামগঞ্জ উপজেলার বাগেরকোণা-সলফ সড়কটি জনগুরুত্বপূর্ণ। এই পাকা সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এই রাস্তাটি দরগাপাশা ও পূর্ব বীরগাঁও দুইটি ইউনিয়নের সংযোগস্থল। বিগত ২ মাস যাবৎ বাগেরকোণা-সলফ রাস্তার প্রায় ৪ কিলোমিটারে বাগেরকোণা গ্রামের পশ্চিমের অংশে প্রায় ৩ শ’ মিটার জায়গায় মহাসিং নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙতে ভাঙতে রাস্তাটির ৩শ’ মিটারের অধিক জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। রাস্তা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার কারণে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সরেজমিনে সলফ গ্রামে নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, যান চলাচল বন্ধ থাকায় দিনে অথবা রাতে রোগী থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ, শিশুদের নিয়ে প্রায় ৩ থেকে ৪ কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয়। এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই এলাকার জনসাধারণকে।
সলফ গ্রামের আব্দুল গফফার জানান, এই রাস্তার ব্যাপারে আমরা কয়েকবার এলজিইডি অফিসে যোগাযোগ করেছি, আবেদন করেছি এবং আমাদের পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নানকে অবগত করেছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই রাস্তার নদী ভাঙন অংশে সংস্কারকাজ শুরু করা প্রয়োজন। না হয় দিন দিন আরও দুর্ভোগে পড়বে এলাকাবাসী।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. জিতু মিয়া বলেন, বাগেরকোণা-সলফ রাস্তা দিয়ে ধর্মপুর, কাউয়াজুরী, উমেদনগর গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। দীর্ঘ দিন ধরে নদী ভাঙনের কবলে পড়ে রাস্তাটি বেহাল অবস্থা ধারণ করেছে। রাস্তাটির নদী ভাঙন এলাকায় সংস্কার করা অতিজরুরি। না হয় জনগণের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।
দরগাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন বলেন, এই রাস্তাটির ব্যাপারে এলাজিইডি অফিস, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি স্থায়ীভাবে রক্ষা করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
সুনামগঞ্জ জেলা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম বলেন, নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। ব্যাপক ভাঙনের বিষয়ে এলজিইডির কিছু করার নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে প্রকল্প নিয়ে রাস্তাটি সংস্কার করতে হবে অথবা বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমদ বলেন, এই রাস্তাটি অতিগুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও এলজিইডির যৌথ উদ্যোগে রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন। উপজেলা পরিষদ থেকে যতটুকু সহযোগিতা লাগে, তা আমরা করবো।