সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন গত ১০ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, তারা মোবাইল উদ্ধারের খুব কাছাকাছি গিয়েছেন। খুব শিগগিরই মোবাইলটি উদ্ধার এবং ছিনতাইকারী চক্রের একাধিক সদস্যকেও গ্রেফতার করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ মে রাজধানীর বিজয় সরণি এলাকায় পরিকল্পনামন্ত্রী তার পতাকাবাহী গাড়িতে বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন। এসময় গাড়ির গ্লাস খোলা পেয়ে এক ছিনতাইকারী তার মোবাইল ফোনটি ছোঁ মেরে নিয়ে পালিয়ে যায়। মন্ত্রীর মোবাইল ছিনতাইয়ের এই ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মাহতাব উদ্দিন বলেন, আমরা মোবাইলটি উদ্ধারের কাছাকাছি পর্যায়ে চলে গেছি। খুব শিগগিরই মোবাইলটি উদ্ধার ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হবে।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, পরিকল্পনামন্ত্রীর মোবাইল ছিনতাই হওয়ার পর থেকে র্যাব-পুলিশের একাধিক ইউনিট ছিনতাইকারীকে শনাক্ত ও মোবাইলটি উদ্ধারের চেষ্টা করে আসছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম অন্তত দুই ডজন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার ও
জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে বুধবার (৯ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত মোবাইলটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, যে ছিনতাইকারী মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়েছিল, তারা ইতোমধ্যে তাকে শনাক্ত করেছেন। ওই ছিনতাইকারী একজন ভবঘুরে। মন্ত্রীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার পর সে একটি মোবাইল মেরামতকারী দোকানে বিক্রি করে দেয়। ওই দোকানদার আবার মোবাইলটি তৃতীয় এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট ইউনিট গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে ছিনতাইকারী ও মোবাইলটি কিনে নেওয়া দোকানিকেও শনাক্ত করেছে। তবে দোকানদার দ্বিতীয় দফায় যার কাছে মোবাইলটি বিক্রি করেছেন, তাকে এখন শনাক্ত করা যায়নি।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এই কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে জানান, ইতোমধ্যে তারা ওই দোকানদারের কাছ থেকে একটি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করেছেন। তবে সেটি মন্ত্রীর ব্যবহৃত মোবাইল নয়। মন্ত্রীর মোবাইলটি যার কাছে বিক্রি করা হয়েছে, তিনি এখনও পলাতক রয়েছেন। তাকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারলেই মোবাইলটি উদ্ধার করা যাবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ মে মোবাইল ছিনতাই হওয়ার পর পরিকল্পনামন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী রাজধানীর কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে ছিনতাই হওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী জানান, আমেরিকা থেকে ছেলের পাঠানো তার মোবাইলটি ছিনতাই হয়েছে। গণমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়। এরপরই বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে।