স্টাফ রিপোর্টার ::
শাল্লা উপজেলার বাহারা ইউনিয়নের আঙ্গারুয়া গ্রামের হতদরিদ্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নিরঞ্জন দাসকে আর্থিক সহায়তা এনে দিয়ে এখন দুর্নীতিবাজ চক্রের অপপ্রচারের শিকার শাল্লা উপজেলার সৎ ও আপসহীন সাংবাদিক হিসেবে খ্যাত জয়ন্ত সেন। তার বিরুদ্ধে অখ্যাত ও নাম সর্বস্ব অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় অসত্য সংবাদ প্রচারিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উপজেলার সুধীজন। তারা এমন সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট জয়ন্ত সেনকে সাহস ও সততার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
জানা গেছে, মানবিক ও পরোপকারি হিসেবে জেনে জয়ন্ত সেনকে তার দুরাবস্থার কথা জানান দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নিরঞ্জন দাস। তিনি তাকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুজিববর্ষের উপহার একটি ঘর পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু ঘর পাননি। পরে তার দুরাবস্থার কথা জেনে স্বচ্ছল ঘনিষ্ঠজনদের কাছে ওই প্রতিবন্ধীকে সহযোগিতার কথা জানান জয়ন্ত সেন। সরকারি ঘর না পাওয়ায় শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সুপার বসু দেবের কাছেও নিরঞ্জনকে সহযোগিতার কথা জানান জয়ন্ত সেন। ঘর দিতে না পেরে আক্ষেপ করে বসু দেব দাস ব্যক্তিগতভাবে প্রতিবন্ধীকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। মে মাসের শেষে বসু দেব দাস জয়ন্ত সেনের পরিচিত মোটর সাইকেল চালক ঝান্টু সরকারের কাছে চার হাজার টাকা দেন নিরঞ্জন দাসকে সহযোগিতার জন্য। কিন্তু চতুর বসুদেব দাস সৎ ও নীতিবান সাংবাদিক জয়ন্ত সেনকে হেয় করতে ঝান্টু সরকারের কথোপকথন মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে রাখেন।
পরবর্তীতে ওই রেকর্ডটি অখ্যাত পত্র-পত্রিকায় সরবরাহ করলে একতরফাভাবে ‘সিন্ডিকেট নিউজ’ করা হয় জয়ন্ত সেনকে নিয়ে। তার সংগঠন হাওর বাঁচাও আন্দোলনকেও জড়িয়ে অপপ্রচার করে। অথচ এই সিন্ডিকেট সাংবাদিকতার আগেই জয়ন্ত সেন বসু দেব দাসের কাছ থেকে পাওয়া সহায়তা ওই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীকে বুঝিয়ে দেন। যার প্রমাণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গত ৩ জুন তিনি পোস্ট করে সবাইকে জানিয়ে দেন। এরপরেই চক্রটি তার বিরুদ্ধে অখ্যাত পত্র-পত্রিকায় মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করতে থাকে।
সহায়তা পাওয়া নিরঞ্জন দাস বলেন, আমি বসু বাবুর দেওয়া ৪ হাজার টাকা পেয়েছি। এই দুঃসময়ে যারা আমাকে সাহায্য করছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, জয়ন্ত সেন আমার জন্য আরও অনেকের কাছেও সহযোগিতা চেয়েছেন। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।
এদিকে জয়ন্ত সেনকে নিয়ে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচারিত হওয়ায় শাল্লা উপজেলার সুধীজন নিন্দা জানিয়েছেন।
লেখক সুব্রত দাস খোকন বলেন, বর্তমানে শাল্লা উপজেলায় সাংবাদিকতায় সততার আদর্শ জয়ন্ত সেন। সবাই তাকে এ কারণে শ্রদ্ধা ও সম্মান করে।
গোবিন্দ চন্দ্র সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিপাল দাস মিল্টন বলেন, জয়ন্ত সেন সৎ সাংবাদিকতার পাশাপাশি মানবিক ও সামাজিক নানা কাজেও যুক্ত। আমরা একজন ভালো সাংবাদিক হিসেবে চিনি। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ কেউ বিশ্বাস করবেনা।
শাল্লা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব তরুণ কান্তি দাস বলেন, এই দুঃসময়ে জয়ন্ত সেন আমাদের অবহেলিত এলাকার সোচ্চার কণ্ঠস্বর। তাকে যারা থামিয়ে দিতে চায় তারাই এখন ব্যর্থ হয়ে মিথ্যাচার করছে। এদেরকে বিতর্কিত নানা কাজের জন্য ২০১৮ সনে আমাদের সামাজিক সংগঠন থেকে বহিষ্কার করেছিলাম। এখন এরাই এই অপপ্রচার করছে।
১৯৭১ সনের শাল্লা উপজেলা সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব ও বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ রামানন্দ দাস বলেন, জয়ন্ত সেন একজন সাহসী ও সৎ কলমযোদ্ধা। স্রোতের বিপরীতে গিয়ে সে সমাজ ও মানুষের উন্নয়নে সাংবাদিকতা করে আলাদা ইমেজ তৈরি করেছে। যারা তার সততা ও নীতিকে ভয় পায় তারাই তার বিরুদ্ধে অপবাদ দিচ্ছে।