স্টাফ রিপোর্টার ::
যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি ২০০৫ সাল থেকে কাজ করছে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব)। নাটাব সুনামগঞ্জ জেলা শাখা যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধ নিয়ে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় নাটাব সুনামগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। সোমবার সকালে শহরের জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নাটাব সুনামগঞ্জের সভাপতি ধূর্জটি কুমার বসুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নির্মল ভট্টাচার্য্যরে সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডা. মো. শামস উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. অতনু ভট্টাচার্য ও জেলা ব্র্যাকের এরিয়া ম্যানেজার মো. শামীম আল মামুন খান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সদস্য মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, যক্ষ্মারোগ একটি বায়ুবাহিত রোগ। একে বলা হয় ছোঁয়াচে রোগ। একজনের থেকে অন্যজনে ছড়ায়। আগে বলা হতো ‘যক্ষ্মা হলে রক্ষা নেই’ কিন্তু বর্তমানে বলা হয় “যক্ষ্মা হলে রক্ষা নেই, এই কথার ভিত্তি নেই”। বর্তমানে যক্ষ্মা নিরাময়যোগ্য রোগ। নিয়মিত ওষুধ সেবনে যক্ষ্মা রোগ সম্পূর্ণরূপে ভাল হয়ে যায়। তিন সপ্তাহের অধিক কাশি হলে যক্ষ্মা রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে। পরীক্ষায় যক্ষ্মারোগ শনাক্ত হলে নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হবে। দেশে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই রোগের চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়।