স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ শহরের উকিলপাড়া এলাকায় অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধসহ ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী পুরাতন সার্কিট হাউস ভবন যেমন আছে ঠিক তেমনই রেখে সংস্কারকাজ বাস্তবায়ন করা হবে। বৃহ¯পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকসহ সুধীজন পুরাতন সার্কিট হাউস পরিদর্শন করেন। এ সময় জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, পুরাতন সার্কিট হাউস ভবন সুনামগঞ্জের ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এর অবয়ব ঠিক রেখে সংস্কারকাজ বাস্তবায়ন করা হবে। এর কোনো কিছুই পরিবর্তন করা হবে না।
জানাযায়, ৯৮ লাখ ৬০ হাজার ২৭০ টাকায় মেসার্স আতিকুর রহমান নামের ঠিকাদার ঐতিহাসিক এই স্থাপনার সংস্কারকাজ করছেন।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত সুধীজন বলেন, পুরাতন সার্কিট হাউসের সঙ্গে সুনামগঞ্জের ইতিহাস জড়িত। এই ভবন অবিকল সংরক্ষণ করতে হবে। তা না হলে এর গুরুত্ব কমে যাবে। এটি একটি স্মৃতিস্মারক। সুধীজন বলেন, এই ভবনের সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জড়িত। ভবনের যে কক্ষে তিনি অবস্থান করেছিলেন সেখানে তাঁর ম্যুরাল স্থাপন প্রশংসনীয় উদ্যোগ। ওই কক্ষের আদল যাতে ঠিক রাখা হয় তা-ও লক্ষ রাখতে হবে। সুধীজন আরও বলেন, যেহেতু সুনামগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল এই ভবনকে ঘিরে, তাই এখানে থ্রি নট থ্রি রাইফেলের একটি স্মারক স্থাপন করা যেতে পারে।
জানাগেছে, পুরাতন সার্কিট হাউসের সংস্কারকাজ দেখভালের জন্য একটি তদারকি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পুরাতন সার্কিট হাউস ভবন পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল হুদা মুকুট, পৌর মেয়র নাদের বখত, শিক্ষাবিদ পরিমল কান্তি দে, জেলা উদীচীর সভাপতি নারীনেত্রী শীলা রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নূরুল মোমেন, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব আলম, জেলা আ.লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান এমদাদ রেজা চৌধুরী, দৈনিক সুনামকণ্ঠ সম্পাদক বিজন সেন রায়, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সালেহ আহমদ, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল, অ্যাড. আইনুল ইসলাম বাবলু, দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর সম্পাদক পংকজ কান্তি দে, তাহিরপুর উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক অমল কর, জেলা কৃষকলীগের সদস্য সচিব বিন্দু তালুকদার প্রমুখ।