স্টাফ রিপোর্টার ::
করোনাকালে সরকারের বারবার তাগাদা সত্ত্বেও বাড়েনি সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা। ‘বিধি-নিষেধ’ জারি করেও মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানানো যাচ্ছে না। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে সুনামগঞ্জে করোনায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২৮১৫ জন। এর মধ্যে আরোগ্য লাভ করেছেন ২৭২৪ জন। এর মধ্যে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট দেশে শনাক্ত হয়েছে। যা খুব দ্রুত ছড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকার আরেক দফা ‘লকডাউন’ ঘোষণা করেছে। কিন্তু তারপরেও সচেতনতার ছবিতে বদল আসেনি।
শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও স্বাস্থ্যবিধি বালাই নেই। জনজীবন স্বাভাবিক। গণপরিবহনে বাড়তি ভাড়া আদায় করা হলেও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। হাট-বাজারে মানুষের অবাধ চলাচল দেখলে মনে হয় করোনা বলে কিছু নেই। সরকার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলেও, জনসাধারণের মধ্যে মাস্ক পরায় অনীহা দেখা গেছে। তাছাড়া নানা সমাবেশেও স্বাস্থ্যবিধি-সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষিত থাকছে।
এ পরিস্থিতিতে সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন- সাময়িকভাবে হলেও এত দিনকার জীবনধারায় পরিবর্তন আনতে হবে। আমরা যদি আরও সতর্ক না হই, তাহলে মারাত্মক বিপর্যয় আমাদেরকে ভয়াবহ ক্ষতির দিকে ধাবিত করবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যেদিকে ঊর্ধ্বমুখী সেদিকে মানুষের সচেতনতার হার একেবারে নিম্নমুখী, প্রায় নেই বললেই চলে। এর ফলে করোনা সংক্রমণের হার লাগামহীনভাবে বেড়ে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সচেতনতাই সবচেয়ে বেশি জরুরি। আমরা যদি সচেতন না হই তাহলে এই অসচেতনতাই আমাদের বিপদের দিকে ধাবিত করবে। যার পরিণতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শামস উদ্দিন জানান, করোনা মহামারি প্রতিরোধে আমাদের সচেতনতার বিকল্প নেই। আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক পরতে হবে।