স্টাফ রিপোর্টার ::
শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি পরিবারকে সেলাই মেশিন, ৯টি পরিবারকে মাছ ধরার জাল বানানোর সরঞ্জাম, ৪৪টি পরিবারকে নগদ অর্থ প্রদান ও ৩৪জন নারীকে শাড়ি, ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ এবং বয়স্ক মহিলাদেরকে মাসিক ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। রিসার্চ এন্ড এমপাউয়ারমেন্ট অর্গানাইজেশন (আরইও) এবং ক্যাম্পেইন ফর প্রোটেকশন রিলিজিউয়াম মাইনোরিটিজ ইন ইউকে (সিপিআরএমবি)-এর অর্থায়নে এই সহায়তা প্রদান করা হবে।
এ উপলক্ষে সংগঠন দুটি বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের পৌরবিপণিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠন আরইও-এর চেয়ারম্যান প্রফেসর চন্দন সরকার, বাংলাদেশ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. অরুণ কুমার গোস্বামী, ঝুমন দাসের আইনজীবী (সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাড. দেবাংশু শেখর দাস, আরইও সংগঠনের যুব সম্পাদক রাজেশ নাহা গ্রেপ্তারকৃত ঝুমন দাসের মাতা নিভা রানী দাস, ঝুমনের সহধর্মিণী সুইটি রানী দাস ও স্বজন লোকেশ দাস বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে ব্যক্তিগত ফেসবুকে ঝুমন দাস হেফাজেেতর যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে মন্তব্য করায় একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী শাল্লার নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করে। এই মামলায় হামলাকারীরা আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্তি পেলেও ঝুমন দাসকে কারাগারে রয়েছেন। বক্তারা ঝুমন দাসের মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান।