স্টাফ রিপোর্টার ::
১৬ বছর ধরে শাল্লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হেলায় পড়ে থাকা প্রায় ২০ লাখ টাকা দামের এক্সরে মেশিনটি বিকল হয়ে গেছে। মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দক্ষিণ গেটের সামনে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই দামি মেশিনটি। ফলে উপজেলার প্রায় ২ লাখ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
উপজেলার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস বলেন, হাসপাতালের এক্সরে মেশিনটি চালু না থাকায় সাধারণ মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শারীরিক নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মানুষকে ছুটে যেতে হচ্ছে ঢাকা, সিলেট, সুনামগঞ্জসহ দেশের অন্যান্য জেলায়। এক্সরে মেশিনটি এইভাবে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।
পল্লী চিকিৎসক আনন্দ চন্দ্র দাস বলেন, এই দামি এক্সরে মেশিনটি এভাবে পড়ে থাকায় আমাদের এক্সরের জন্য যেতে হয় সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জে। সরকারি স¤পদ অবহেলায় নষ্ট হবে কেনো?
এ বিষয়ে শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রবিউল আকরাম বলেন, মেশিনটি স্থাপন না হওয়ায় নষ্ট হয়ে গেছে শুনেছি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন বলেন, এগুলো ঢাকা থেকে কিনে কিনে পাঠাইছে। চালানোর মতো লোকও নেই।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে এক্সরে মেশিনটি শাল্লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। এরপর লোকবল ও নির্দিষ্ট কক্ষে এক্সরে মেশিনটি স্থাপন না করায় দক্ষিণ দিকের গেটে থাকতে থাকতেই নষ্ট হয় যায় এই গুরুত্বপূর্ণ এক্সরে মেশিনটি।