স্টাফ রিপোর্টার ::
জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বাজার ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক সিকনদরকে (৩০) গত ১১ মে দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে লাশ গ্রামের পাশের হাওরে ফেলে রাখে। পরদিন পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরে নিহতের পুত্র বাদী অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু কেন এবং কি কারণে কারা এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কেউ বলতে পারেনি। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও প্রকৃত দোষীদের শনাক্ত ও বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আন্দোলন শুরু হয়। পুলিশ নড়ে চড়ে বসে। এক পর্যায়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিপিএম-এর দিকনির্দেশনায় ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল আলমের নেতৃত্বে এসআই লিটন, এসআই মোশারফ, এসআই জিয়াউর, এসআই সোহাগ, এসআই রাসেল ও এএসআই শাহীন অনুসন্ধান চালিয়ে ও বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে থাকেন। গত রোববার (২৩ মে) ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একই ইউনিয়নের সুকদেবপুর গ্রামের মৃত জহুর আলীর পুত্র আমির হোসেন (৩৫)কে তার গ্রাম থেকেই আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা তার দেখানো মতে পুলিশ উদ্ধার করে। সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সে আদালতেও হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ জানায় নিহত সিকনদর আমির হোসেনের অনৈতিক কাজে সহযোগিতা না করার কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছিল।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বিপিএম জানান, আমাদের পুলিশ দিন-রাত পরিশ্রম করে এই ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করে।