দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি ::
দোয়ারাবাজারে মোস্তফা কামাল নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষককে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের আল-হাসেম একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও এরুয়াখাই গ্রামের বাসিন্দা।
রোববার দুপুরে উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চকবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোস্তফা কামাল এই অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের গিরিশনগর গ্রামের মৃত হাছন আলীর পুত্র আবদুছ সামাদ গত বছর আমার এক ভগ্নিপতি উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের মাওলানা নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। কেন বা কি কারণে মামলা দায়ের করেন তা আমার কিছুই জানা নেই। ভগ্নিপতির সাথে আমার কোন যোগসাজশও নেই। লেনদেন আছে কি না তাও জানা নেই। অথচ আমার নাম ওই মামলায় জড়িয়ে অহেতুক হয়রানি করা হচ্ছে। আমি জামিন নিয়ে আসার পরও আবদুস সামাদ আমার বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে এসে বিভিন্নভাবে আমাকে চাপ সৃষ্টি করে এবং তিনি আমার ভগ্নিপতির কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের সুবিধার্থে মামলায় আমার নাম জড়িয়েছেন বলে প্রচার করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, অহেতুক আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে এবং আগামীতে আরও মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে আমাকে হয়রানি করা হবে বলে হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে। আমি একজন শিক্ষক হিসেবে এসব হয়রানি থেকে আমাকে রক্ষা করার জন্য আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত জনের মধ্যে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মোস্তফা কামাল একজন শিক্ষক। তিনি কোনভাবেই লেনদেনের সাথে জড়িত নয়। অহেতুক মামলায় জড়িয়ে তাকে হয়রানি করা হচ্ছে।
ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি ও ব্যবসায়ী আনছার আলী বলেন, শিক্ষক মোস্তফা কামালকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে মামলা থেকে তাঁর নাম প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমীরুল হক বলেন, মোস্তফা কামাল একজন সহজ সরল শিক্ষক মানুষ। তাঁর নাম মামলায় জড়িয়ে অহেতুক হয়রানি করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য আলকাছ মিয়া, মোহাম্মদ আলী, হাসন আলী, রমজান আলী, নুর হোসেন, মাওলানা মামুন বিন মোস্তফা, বিলাল হোসেন প্রমুখ।