1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৫ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে সচেতনতার বিকল্প নেই

  • আপডেট সময় রবিবার, ২৩ মে, ২০২১

বজ্রপাত এখন জনসাধারণের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বজ্রপাতের প্রধান সাতটি কারণ চিহ্নিত করেছেন। এগুলো হল- ১. বাতাসে সিসার পরিমাণ বৃদ্ধি, ২. জনজীবনে ধাতব পদার্থের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়া, ৩. মোবাইল ফোন ব্যবহার, ৪. মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া, ৫. বনভূমি এবং উঁচু গাছের সংখ্যা কমে যাওয়া, ৬. জলাভূমি ভরাট এবং ৭. নদী দখল।
দেশে একদশকে অন্য যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের তুলনায় বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ২০১৬ সালে বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল জানিয়েছেন, বিশ্বে বজ্রপাত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় বাংলাদেশে। গত দেড়মাসে বজ্রপাতে বেশি মানুষ মারা গেছেন সুনামগঞ্জে, কিশোরগঞ্জে এবং গাইবান্ধা জেলায়। গত ২২ মে দৈনিক সুনামকণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে- জেলায় গত চার বছরে বজ্রপাতে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বজ্রপাতের ঘটনা বেশি ঘটে এপ্রিল ও মে মাসে। ডিজাস্টার ফোরামের প্রতিবেদনের মতে বজ্রপাতের কারণে একজন মানুষের মৃত্যুর সাথে আশেপাশের অন্তত ১০ জন আহত হন। এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হিসাব। আর বজ্রপাতে আহতদের প্রায় সবাই স্থায়ীভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
উল্লেখ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সাল এই ১১ বছরে দেশে বজ্রপাতে মোট মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৩৭৯ জন। ২০২০ সালে ২৯৮ জন, ২০১৮ সালে ৩৫৯ জন, ২০১৭ সালে ৩০১ জন, ২০১৬ সালে ২০৫ জন, ২০১৫ সালে ১৬০ জন, ২০১৪ সালে ১৭০ জন, ২০১৩ সালে ১৮৫জন, ২০১২ সালে ২০১ জন, ২১১ সালে ১৭৯ জন এবং ২০১০ সালে ১২৩ জন বজ্রপাতে মারা গেছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে বজ্রপাত থেকে রক্ষার উপায় হাওর ও বিল অঞ্চলে মুঠোফোনের টাওয়ারে লাইটিং এরেস্টর লাগাতে হবে। হাওর অঞ্চলের কৃষকদের সচেতনতা বাড়ানোর সাথে সাথে গাছ লাগানো এবং বড় বড় গাছ সংরক্ষণে গুরুত্ব দিতে হবে।
আন্তর্জাতিক গবেষণা মতে, আমাদের দেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে অন্তত ৪০টি বজ্রপাত হয় এবং এর স্থায়িত্ব কাল ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট। এ সময় ঘরে অবস্থান করতে হবে। সাধারণত আবহাওয়াতে ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়ে গেলে বজ্রপাতের আশঙ্কা বেড়ে যায় ১২ শতাংশ। এপ্রিল থেকে জুন মাস আমাদের দেশের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়। বজ্রপাতের সময় খোলামাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি পায়ের আঙ্গুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙ্গুল চেপে মাথানিচু করে বসে থাকতে হবে। গাছাপালা বৈদ্যুতিক খুঁটি, মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদিতে হাত দেওয়া যাবে না। মোবাইল, টেলিভিশন, ল্যাপটপ খোলা রাখা যাবে না। ঘরে দরজা জানালা বন্ধ করে দিতে হবে। এককথায় বজ্রপাত থেকে নিজেকে রক্ষায় সচেতনতার বিকল্প আর কিছু হতে পারে না।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com