তাহিরপুর প্রতিনিধি ::
তাহিরপুরে নদীর পানি দ্রুত গতিতে বাড়ছে। এ অবস্থায় শনির হাওরের স্লুইস গেট থাকায় হাওরের স্থায়ী বাঁধ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্লুইস গেটটি খুলে দেয়ার দাবিতে স্থানীয় কৃষকরা লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনটি পেয়ে শুক্রবার সকালে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্লুইস গেটটি পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে গেটটি খুলে দেবেন বলে স্থানীয় কৃষকদের আশ্বাস প্রদান করেন। তার সঙ্গে ছিলেন সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান।
শনির হাওরপাড়ের মারালা গ্রামের কৃষক শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মিয়া হোসেন জানান, তাহিরপুর উপজেলার ছোট বড় ২৩টি হাওরের ধান কাটা বিগত ১৫ দিন পূর্বেই শেষ হয়েছে। এ অবস্থায় সবগুলো হাওরের স্লুইসগেট দিয়ে নদী থেকে হাওরে পানি প্রবেশ করছে। কিন্তু শনির হাওরের স্লুইসগেটটি বন্ধ থাকায় দুর্বৃত্তরা হাওরের যে কোন গুরুত্বপূর্ণ স্থান দিয়ে বাঁধ ভেঙে দিতে পারে। বর্তমানে হাওর থেকে নদীর পানি ২০ফুট উপরে রয়েছে।
উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ স¤পাদক মো. হাফিজ উদ্দিন বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে গত সোমবার শনির হাওরের স্লুইসগেটের সবগুলো ঢালা সেতু মিস্ত্রিকে দিয়ে খুলে দেয়া হয়। পরবর্তীতে স্লুইসগেটের ঢালাগুলো সাহেবনগর গ্রামের সেতু মিস্ত্রি তার বসতবাড়িতে নিয়ে স্তূপকৃত করে রাখেন। ওইদিনই হাওরে পানি প্রবেশ করতে থাকে। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে শনির হাওরের কৃষকরা জানতে পারেন শনির হাওরের স্লুইস গেটের সবগুলো ঢালা কে বা কারা বন্ধ করে দিয়েছে।
ভাটি তাহিরপুর গ্রামের কৃষক ইউনূছ আলী বলেন, নদীর পানি প্রচণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় শনির হাওরের স্লুইস গেটটি বন্ধ থাকায় হাওরের যে কোন গুরুত্বপূর্ণ স্থান দিয়ে পুরনো স্থায়ী বাঁধ ভেঙে হাওরের ভিতরে পানি প্রবেশ করতে পারে। ফলে সরকার ও কৃষক উভয়েই মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই তিনি শনির হাওরের স্লুইসগেটের ঢালা খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করবেন।