1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৩৩ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

পাথারিয়া-ভাটিপাড়া-বাংলাবাজার সড়ক : দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের ভোগান্তি

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২১ মে, ২০২১

হোসাইন আহমদ ::
সুনামগঞ্জ জেলার দুটি উপজেলা দিরাই ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জের মানুষ দীর্ঘদিনের দাবি আদায়ে মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন করতে করতে এখন হতাশ। অনেকেই বলছেন মানববন্ধন, মিছিল-মিটিং করে লাভ নেই। বেহাল সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন তাদের ‘নিয়তি’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বলা হচ্ছিল দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ও শিমুলবাক সড়কের কথা। মানুষ নিরাশ হয়ে গেছেন এই রাস্তা নিয়ে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া বাজার হতে পশ্চিম দিকে ভাটিপাড়া হয়ে বাংলা বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার রাস্তাটিতে বারো মাস চলাচল উপযোগী করার দাবি দীর্ঘদিনের। এই দাবিতে দুটি উপজেলাবাসী মানববন্ধন করে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছিলেন। পাশাপাশি এই দাবিটি তারা বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিদের কাছেও তুলে ধরেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তবে সম্প্রতি সজ্জন রাজনীতিবিদ পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এমএ মান্নান এমপি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও দিরাই ভাটিপাড়া বাংলাবাজার রাস্তাটিতে বারো মাস চলাচল উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার প্রদান করেছেন।
এদিকে, বর্তমানে বেহাল রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছে না দুটি উপজেলার ভাটিপাড়া, শিমুলবাক ও পাথারিয়া তিনটি ইউনিয়নের হাজার হাজার লোকজন।


দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ও রফিনগর ইউনিয়ন এবং দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের একমাত্র সড়ক হচ্ছে পাথারিয়া-ভাটিপাড়া-বাংলাবাজার সড়ক। সড়কে শত শত গর্ত, আরসিসি ঢালাই ভেঙে গেছে, সড়কের স্থানে স্থানে রড উঠে আছে। এই ভাঙাচোরা সড়কে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন মানুষ। আর প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
অপরদিকে, দুর্ভোগের আরেক নাম পাথারিয়া-ভাটিপাড়া রাস্তা। যেন দেখার কেউ নেই। মানুষের মধ্যে এই রাস্তা নিয়ে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
পিকআপ চালক আয়াজ আলী, সিএনজি চালক রইছ আলী, রুহেদ মিয়া বলেন, সরকারের ঘোষণা গ্রামকে শহরে উন্নতিকরণ। সারাদেশে উন্নয়ন হলেও আমাদের কপালে তা নাই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বেহাল সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হয়। দুর্ঘটনার পাশাপাশি গাড়ির যন্ত্রপাতিও নষ্ট হচ্ছে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মুরাদপুর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান জিতু বলেন, পাথারিয়া-ভাটিপাড়া রাস্তাটি আমাদের গ্রামীণ জনপদের জন্য অভিশাপ। বছরের পরে বছর যায় কিন্তু এই রাস্তা আর ভাল হয় না। প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় অনেক দুর্ঘটনা। এই ১৪ কিলোমিটার সড়কের এই অবস্থার জন্যে মানুষকে প্রায় ৩/৪ গুণ বেশি ভাড়া দিতে হয়। প্রতি বছরই আমরা আবেদন করি মানববন্ধন করি কিন্তু এই রাস্তা আর ঠিক হয় না। এই বেহাল রাস্তা মানুষকে কতটুকু ভোগান্তিতে ফেলেছে তা এই সড়ক দিয়ে চলাচল না করলে বুঝা যাবে না। আজ যখন এই রাস্তা দিয়ে আসার সময় মানুষের কষ্ট দেখছিলাম তখন নিজেকে খুব অসহায় এবং অপরাধী মনে হয়েছে।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমিনুর রশীদ আমিন বলেন, পাথারিয়া-মুরাদপুর-ভাটিপাড়া রাস্তাটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এটি অতিদ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন। তবে আমার ইউনিয়নে এলাকায় রাস্তার যে অংশটি পড়েছে অধিকাংশ রাস্তাই ভালো। তবে ভাটিপাড়া ও মুরাদপুর অংশের রাস্তাটি খুই খারাপ, মাঝে মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে গাড়ি ও জনসাধারণ চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
দিরাই উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. ইফতেখার হোসেন বলেন, দিরাই ভাটিপাড়া-বাংলা বাজার পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার রাস্তার অধিকাংশ অংশ সাবমার্সিবুল মানে ডুবন্ত রান্তা। পরিকল্পনামন্ত্রী আলহাজ্ব এম এ মান্নান মহোদয় রাস্তাটিকে বারো মাস চলাচল উপযোগী করে (আবুরা রাস্তা) নির্মাণের জন্য একটি ডিও লেটার প্রদান করেছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ চলমান রয়েছে। এই মুহূর্তে ইউনিয়ন পর্যায়ে গ্রামীণ মহিলাদের দিয়ে মাটি ভরাট করে চলাচল উপযোগী করে রাখা হয়েছে এবং চলমান আছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com