শহীদনূর আহমেদ ::
“তরমুজ একদাম ৫০০ টাকা। আর দাম করা যাইতো না। পোষাইলে নেন না পোষাইলে নাই।” দাম হাঁকাতে গিয়ে এভাবেই ক্রেতার সাথে কথা বলতে দেখা যায় ফল বিক্রেতাকে। সুনামগঞ্জ শহরের আলফাত স্কয়ার এলাকায় ফল বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে দাম কষাকষির এমন দৃশ্য হরহামেশাই দেখা যাচ্ছে।
সরেজমিনে সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন দোকান ঘুরে ফলের দামের উচ্চ মূল্য পরিলক্ষিত হয়। রসালো ফল তরমুজ আকার অনুযায়ী প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকায়। আনারসের হালি ১৫০-২০০ টাকা, লিচুর জোটা ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, সাদা আঙ্গুর প্রতি কেজি ৩৫০-৪০০ টাকা, কালো আঙ্গুর ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, আপেল প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, মাল্টা প্রতি কেজি ১৬০-১৮০ টাকা, কলা কুঁড়ি প্রতি ৯০ থেকে ১২০ টাকা, আম প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
ফলের এই নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যে নাস্তানাবুদ সাধারণ ক্রেতারা। অসাধু ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা ও বাজার মনিটরিংয়ের অভাবে ফলের দাম দিন দিন বাড়তে থাকলেও দাম নিয়ন্ত্রণে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে না সংশ্লিষ্টদের।
ফলের এমন উচ্চ দামে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ ক্রেতারা। তাদের অভিযোগ- কারণে-অকারণে নানা অজুহাত দেখিয়ে রমজান মাসে ফলের দাম বাড়াচ্ছেন ফল বিক্রেতারা। ফলের দাম নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন ক্রেতারা।
শহরের পশ্চিম তেঘরিয়ার বাসিন্দা দুলাল মিয়া বলেন, ৩০০ টাকা দিয়ে একটা মাঝারি ধরনের তরমুজ আর ১৬০ টাকা দিয়ে ছোট ছোট ১ হালি আনারস কিনছি। ফলের দামে যেন আগুন। দাম নিয়ে ফল বিক্রেতাদের সাথে কথাই বলা যায় না। সাধারণ মানুষ ফল কিনবে দূরে থাক দরদাম করার সাহস পাচ্ছে না।
ফলের চড়া দামের ব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক মো. শফিকুল আলম বলেন, বাজারে ফলের দাম একটু বেশি। নানা অজুহাতে কিছু ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে থাকেন। ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে আমরা প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করে থাকি। শীঘ্রই সুনামগঞ্জ ফলের বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।