স্টাফ রিপোর্টার ::
শাল্লা উপজেলার হিন্দুদের গ্রাম নোওয়াগাঁওয়ে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা দ্রুত বিচার আইনে নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে করেছেন এলাকাবাসী। পরে তারা মিছিল দিয়ে থানায় গিয়ে পুলিশ সুপার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। পুলিশ সুপার বরাবরে দাখিলকৃত স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন শাল্লা থানার ওসি মো. নাজমুল হক। একই দাবিতে শাল্লায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে। এদিকে বুধবার বিকেলে হামলা ও ভাংচুরের আলামত পুলিশ গ্রামে গিয়ে নিয়ে এসেছে বলে জানান স্থানীয়রা। অন্যদিকে এই মামলায় ৩৪ জন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে।
বুধবার সকালে শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগ ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারে মামলাটি দ্রুতবিচার আইনে নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। মানববন্ধনে উপজেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দও অংশ নেন। এসময় বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অলিউল হক, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ চৌধুরী, মামুন আল কাউসার, বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু, আবুল লেইছ চৌধুরী, কাজল বরণ চৌধুরী প্রমুখ। দুপুরে শাল্লা থানা রোডে হবিবপুর ও নোয়াগাঁও গ্রামবাসী বিক্ষোভ মিছিল সহকারে উপজেলা সদরে আসেন। তারা মানবন্ধন শেষে মিছিল সহকারে থানায় গিয়ে মামলাটি দ্রুতবিচার আইনে নেওয়ার দাবি জানিয়ে পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদানকরেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল চন্দ্র দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা জগৎচন্দ্র দাস, এডভোকেট সুব্রত দাস প্রমুখ।
এদিকে বুধবার বিকেলে শাল্লা থানা পুলিশ হামলা ও লুটপাটের শিকার গ্রামে গিয়ে জব্দ করার কথা বলে ভাংচুর হওয়া জিনিষপত্র নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে শাল্লা থানার ওসি মো. নাজমুল হক বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে জব্দ তালিকা করে আমরা ভাংচুরকৃত জিনিষপত্র নিয়ে আসছি। অন্য কোন কারণে নয়। এলাকাবাসীর দেওয়া দ্রুত বিচার আইনের স্মারকলিপিটি তিনি পেয়েছেন বলেও জানান।