1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:০৫ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ছেলের মুক্তি চাইলেন ঝুমন দাশের মা

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৪ মার্চ, ২০২১

সুনামকণ্ঠ ডেস্ক ::
ছেলের মুক্তি চেয়েছেন সুনামগঞ্জের শাল্লার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ঝুমন দাশের মা নীবা রানী দাশ। তিনি বলেছেন, সাত দিন ধরে তিনি ছেলের খোঁজ পাচ্ছেন না, দেখা পাচ্ছেন না। ছেলে পুলিশি হেফাজতে আছে। কিন্তু কোথায় আছে, তা জানেন না তিনি।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান নীবা রানী দাশ।
শাল্লার সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় আটক ঝুমন দাশের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
শাল্লায় সাম্প্রদায়িক হামলার সেদিনকার ঘটনা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন ঝুমন দাশের মা নীবা রানী দাশ। তিনি বলেন, সেদিন মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে কাশিপুর গ্রাম থেকে মিছিল আসে। ঝুমনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরদিন বুধবার সকাল সাতটার দিকে শাল্লা থানায় ঝুমনকে দেখতে যাই। কিন্তু দেখা পাইনি। তখন মসজিদে মাইকিং হচ্ছিল। আমার মেয়ে বাড়ি থেকে ফোন করে জানায়, বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চলছে। তিনি আরও বলেন, কাশিপুরসহ আশপাশের এলাকা থেকে পিঁপড়ার মতো মিছিল আসে। আমার পুত্রবধূর হাত ভেঙে দিয়েছে। বাড়িতে থাকা স্বর্ণ, টাকাপয়সা সব নিয়ে গেছে। বেলা দুইটার দিকে গ্রামে এসে দেখি, সারা গ্রামের মানুষের একই অবস্থা। কারও বাড়িঘর, স¤পত্তি – সব ভাঙচুর করা হয়েছে। লুটপাট চালানো হয়েছে।
নীবা রানী দাশ বলেন, আমার স্বামী মারা গেছে ১৪ বছর হয়েছে। কত কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের মানুষ করেছি। আজ এক সপ্তাহ ধরে ছেলেটাকে দেখতে পাই না। আমার আর কিছু চাই না। আমার ছেলেকে মুক্তি দেওয়া হোক। তিনি আরও বলেন, ঝুমনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, “তুমি কী করেছ?” সে বলেছিল, “মা, কিছু করিনি।” তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব পলাশ কান্তি দে। তিনি বলেন, সংখ্যালঘু হওয়ার কারণেই স¤পূর্ণ বিনা অপরাধে ঝুমনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি কী পোস্ট দিয়েছিলেন, তা দেশবাসী দেখেছে। গ্রেপ্তারের সাত দিন পেরোলেও তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। ঝুমনের পোস্টে ইসলামকে কটাক্ষ করার কোনো কথা ছিল না। সেখানে রাষ্ট্রবিরোধী কিছু ছিল না।
পলাশ কান্তি দে আরও বলেন, সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে যারা লুটপাট-ভাঙচুর করল, মন্দির ভাঙচুর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দিল, যারা সংখ্যালঘুদের জন্য হুমকি, তাদের পুলিশ প্রশাসন কিছু করল না, হেফাজতে নিল না। সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে খুশি করতে নিরপরাধ ঝুমনকে ধরে নিয়ে গেল।
জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নেতারা বলছেন, সংখ্যালঘু নির্যাতন এ দেশে নিয়মিত প্রক্রিয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু হলেই সংখ্যালঘুদের স্থাপনায় আঘাত করা অনেকের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। মূল উদ্দেশ্য সংখ্যালঘুদের মনে ভয়ভীতি দেখিয়ে দেশত্যাগে বাধ্য করা।
জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি প্রভাস চন্দ্র রায় বলেন, দেশে বহুদিন ধরে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, বাড়িঘর ভাঙচুরের কার্যকলাপ চলে আসছে। দুঃখজনক হলেও এসব ঘটনার কোনো ধরনের বিচার হয়নি। কেউ কোনো বিচার পায়নি। মামলা হলেও পরবর্তী সময়ে কোনো ধরনের ফয়সালা হয়নি। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতিই এ ধরনের উসকানিমূলক কার্যকলাপে ইন্ধন জোগায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় হিন্দু মহাজোটের প্রধান সমন্বয়কারী রাকেশ সরকার, সহসভাপতি প্রভাষ মণ্ডল, বাদল দত্ত প্রমুখ।
ফেসবুকে হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামের এক যুবক আপত্তিকর পোস্ট দিয়েছেন, এমন অভিযোগ তুলে গত বুধবার সকালে সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এ সময় গ্রামের বাড়িঘর ও মন্দিরে ভাঙচুর করা হয়। অন্তত ৯০টি বাড়িতে হামলা করা হয়। – প্রথম আলো

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com