ছাতক প্রতিনিধি ::
ছাতকে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে গুরুতর আহত ২০জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের হাসনাবাদ ও করছখালী গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রাম সংলগ্ন ছাতক-সিলেট রেললাইনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে রেললাইনের পাথরও প্রতিপক্ষকে আঘাতের জন্য ব্যবহার করে উভয়পক্ষের লোকজন।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত হাসনাবাদ গ্রামের কদরুল ইসলাম, ইউপি সদস্য সদরুল ইসলাম, আরশ আলী, শামছু মিয়া, সাগর আহমদ, করছখালী গ্রামের শামসুল হক, সফির উদ্দিন সাদ্দাম, বিলাল আহমদ, নোমান আহমদ, ওয়ারিছ আলী, সফিকুল হক, সাহাব উদ্দিনসহ ২০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া নুরুল ইসলাম, সুজন মিয়া, রইছ আলী, বাহা উদ্দিন শাহী, খালিদ মিয়া, আব্দুল হাই, আরকান আলী, হাবিবুর রহমান হবীল, জয়নাল মিয়া, নুর আলম, আব্দুর রহিম, আব্দুল আউয়াল, কবির আহমদ, আব্দুল আলীসহ অন্যান্য আহতদের ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, ২২মার্চ সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় হাসনাবাদ বাজারে একটি সিএনজি অটোরিকসা পার্কিংয়ে রাখাকে কেন্দ্র করে করছখালী গ্রামের ওলিউর রহমান ও হাসনাবাদ গ্রামের রুহুল আমিনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক নিষ্পত্তি হলেও এর জের ধরে মঙ্গলবার সকালে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় দু’গ্রামের লোকজন। দুই ঘণ্টা সংঘর্ষের পর স্থানীয় লোকজনের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ছাতক থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ওসি নাজিম উদ্দিন সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।