1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৭ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

ছাতকের বোকা নদী এখন সরু খাল

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৯ মার্চ, ২০২১

পীর জুবায়ের ::
নাব্যতা সংকট, দখল এবং দূষণে নিশ্চিহ্নের পথে বোকানদী। আগে যার রূপ, যৌবন ছিলো প্রেমে পড়ার মতো বর্তমানে তা কেবল অতীত। ছাতক উপজেলায় সুরমার শাখা এই নদীটি দৈর্ঘ্যে ৩৩ কিলোমিটার এবং প্রস্থে প্রায় ৩০ফুট যা দক্ষিণ সুনামগঞ্জের মহাসিংনদীর মোহনার সাথে মিলিত হয়েছে।
ছাতকের জাউয়াবাজারের অবস্থান নদীর তীরবর্তী হওয়ায় দিন দিন নদীটি তার অস্তিত্ব রক্ষার তীব্র সংকটে রয়েছে। এক সময় যার রূপের জলে মাঝিমাল্লা, জেলে, ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষ সবাই ভাসতো নাব্যতা হারিয়ে এখন তা কেবল ময়লার স্তূপ। নদী দিয়ে আগে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থান দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করলেও নদীর চারপাশে দোকানপাট নির্মাণের ফলে নদীটি সরু খালে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া নদীর তীর ভরাট ও অবৈধভাবে দোকানপাট ও মার্কেট নির্মাণের ফলে বর্ষায় স্রোতসহ নতুন পানি আসলে তা গতি আটকে ভিন্নপথে বয়ে যায়। ফলে নদীর পার্শ্ববর্তী বাড়ি আর আশেপাশের গ্রামের উপর প্রভাব পড়ার কারণে দেখা দেয় নদীভাঙন।
জানাযায়, বোকা নদী দিয়ে আগে বড়বড় নৌকা চলাচল করতো। তীরে বাজার হওয়ায় এসব নৌকায় করে ব্যবসায়ীরা চাল, গম, কাঁঠাল এবং বিভিন্ন সবজি আমদানি করতেন। পাশাপাশি বর্ষার সময় নদীর উপর নৌকাবিক্রির হাট বসতো। আর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্রেতা বিক্রেতা এসে বাহারি ধরনের নৌকা ক্রয়-বিক্রয় করতেন।
সরেজমিনে দেখাযায়, গত পাঁচ বছরে নদীরপূর্ব দিকে (হাবিদপুর-খিদ্রাকাপন) সুনামগঞ্জ – সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থিত কুমিল্লা বস্তি ভাঙনের ফলে নদীগর্ভে চলে যায়। যেখানে বসবাস করতেন প্রায় অর্ধশত পরিবার। তাছাড়া নদী দখল, ভরাট ও মার্কেট নির্মাণের ফলে নদীভাঙনে ৪-৫ বছরেরমধ্যে নদীর পশ্চিম দিকে (লক্ষমসোম গ্রামের) প্রায় ৪০টি পরিবার জমিসহ ঘর-বাড়ি হারিয়ে সহায়-সম্বলহীন হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, কর্তৃপক্ষ অবৈধ দখলদারের হাত থেকে তাদের জায়গা উদ্ধার করতে প্রতিবছর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলেও বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও নদীর জায়গা উদ্ধার করতে দেখা মিলেনা কোনো অভিযান।
বোকা নদীর ভাঙনে নিঃস্ব আরশ আলী বলেন, এক সময় আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রায় ৪০টি পরিবার ছিলাম। ভালোই চলছিলো আমাদের দিনযাপন। কিন্তু হঠাৎ করে কি এমন হলো যে ৫-৭ বছরের মধ্যেই নদীভাঙন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। এখন আর আমাদের কিছুই নেয়। সব শেষে হয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী নদীর জায়গা দখলকারীদের তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা অনুযায়ী খুব দ্রুত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com