1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩২ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

শাল্লায় বাঁধের টাকায় সড়ক নির্মাণ!

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

জয়ন্ত সেন ::
শাল্লায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের নামে রীতিমতো চলছে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্টরা ফসলরক্ষা বাঁধের নামে দিয়েছে লাখ লাখ টাকার প্রকল্প। যা স্বয়ং পিআইসি’র সভাপতিরাই বলছেন- ‘এখানে ফসলরক্ষার জন্য প্রকল্প দেওয়া হয়নি। সড়ক-রাস্তা করার জন্য প্রকল্প দেওয়া হয়েছে।’
ভান্ডাবিল উপ-প্রকল্পের আওতায় বিষ্ণুপুর গ্রামের বাঁধ হতে গ্রামের মধ্য পর্যন্ত ২৭৫মিটারে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৯লাখ ৪০হাজার টাকা। ওই প্রকল্পের ৩নং পিআইসির সভাপতি বিরাজ দাস বলেন, এখানে রাস্তা-সড়কের জন্য পিআইসি দিছে। এদিকে হাওর খাইত না। কে এই পিআইসি দিয়েছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন পিআইসি তো এসও দিছে।
একই গ্রামের মধ্য হতে স্কুলের পূর্বে বাঁধের উঁচু অংশ শ্রীকান্তের বাড়ি পর্যন্ত ৩৪৬ মিটার বাঁধে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। ওই পিআইসি নং-৪। সভাপতি বিকাশ দাসও একই কথা বলেন। এসওকে কত টাকা দিয়ে পিআইসি এনেছেন এমন প্রশ্নে উক্ত প্রকল্প সমূহের সভাপতিগণ বলেন- ইতা কওন যাইত না। এসময় সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য উৎকোচ দেওয়ার চেষ্টা করেন তারা।
কালনী নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত উপজেলার হবিবপুর ইউপির বিষ্ণুপুর গ্রাম। ওই গ্রাম সংলগ্ন পশ্চিম দিকে ফসলরক্ষা বাঁধের নামে দেওয়া হয়েছে প্রায় ৩৮লাখ টাকার প্রকল্প। যা হাওররক্ষা বাঁধের ক্ষেত্রে একেবারেই অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প। মূলত রাস্তা ও গ্রামের বাড়িগুলো সম্প্রসারণ করার জন্যই ওই ২টি প্রকল্প দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা এলাকাবাসীর।
এ ব্যাপারে পাউবো’র শাখা কর্মকর্তা মো. আব্দুল কাইয়ুমের অফিসে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
সুনামগঞ্জ পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এখন এইগুলো আমি না দেখে কিছু বলতে পারবো না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক্সচেঞ্জকে বলবো, তারা যাচাই-বাছাই করে দেখবে। যদি অপ্রয়োজনীয় হয়, তাহলে আমরা সেটার ব্যবস্থা নেব।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com