1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

পিআইসি হাওরে, সাইনবোর্ড দোকানে!

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

শাল্লা প্রতিনিধি ::
শাল্লা উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের জন্য ১৫৬টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করা হয়। কিন্তু এখনো বহু পিআইসি’র সাইনবোর্ড উপজেলা সদরের কমার্শিয়াল আর্টের প্রতিষ্ঠান মাটি আর্ট ও সান অ্যাডের দোকানে পড়ে রয়েছে। সাইনবোর্ড না নেয়ায় দুটি ব্যবসায়ী আর্ট প্রতিষ্ঠান ক্ষতির মুখে পড়েছে বলে জানান মাটি আর্টের পরিচালক প্রশান্ত তালুকদার ও সান অ্যাডের পরিচালক চিন্ময় দাস। তারা বলেন, সুদে ২ লাখ টাকা ঋণ করে আমরা যৌথভাবে সাইনবোর্ড তৈরি করেছি। সাইনবোর্ড তৈরি করেছি ১ মাস পূর্বে। আমাদের প্রতিটি সাইনবোর্ড তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৪শ টাকা। দুর্গম এই উপজেলার যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় আমাদের সাইনবোর্ড তৈরিতে বেশি খরচ হয়েছে। ৫ফুট-৩ফুট সাইনবোর্ড তৈরিতে কাঠ, প্লেনসিট ও ডিজিটাল স্টিকার ব্যবহার করা হয়েছে। তারা আরও জানান, ২ হাজার টাকা সাইনবোর্ডের মূল্য নির্ধারিত থাকলেও অর্ধেকের বেশি সাইনবোর্ড সেল দিতে হয়েছে ১৫শ টাকায়। আবার অনেকই ১ হাজার টাকার বেশি দিতে চায় না। কেউ কেউ সাইনবোর্ড নিয়ে গেছেন, কিন্তু টাকাই দেননি। বাকি সাইনবোর্ড নিয়ে আমরা এখন বিপদে পড়েছি। ১২০, ১২৭, ৩৪, ১০, ৩১, ১২, ১৪০, ১৩৩, ১০৫, ১১০, ১৩৯, ১৩৩, ১৫৪, ১১৩, ১১২, ১০৬, ৬১, ৪৯, ৫৫, ৪১ ও ৫ নং পিআইসিসহ আরো বেশক’টি পিআইসির সাইনবোর্ড নেয়নি সংশ্লিষ্টরা। এমনিতেই আমরা ক্ষতির মুখে। তার উপর এই সাইনবোর্ড নিয়ে কথিত কিছু অসাধু সংবাদকর্মী মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের চিত্রশিল্পীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। ক্ষতি করেছেন আমাদের ব্যবসার। স্টুডিওর মালিকও সাইনবোর্ড বানাতে চান। ভিজিটিং কার্ড প্রস্তুতকারকও সাইনবোর্ড বানাতে চান। অথচ তারা জানেনই না সাইনবোর্ড তৈরি করতে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। ডিজিটাল মেশিনে প্রিন্ট করা সহজ হলেও, সাইনবোর্ড তৈরি করা এতো সহজ নয়।
২০১৭ সালের সংশোধিত কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী পিআইসির সকল তথ্য সাইনবোর্ডের মাধ্যমে জনসাধারণের নিকট তোলে ধরার কথা থাকলেও অনেক পিআইসি এখনও সাইনবোর্ড নিয়ে তাদের প্রকল্প এলাকায় টাঙিয়ে রাখেননি। কৃষকরা বলছেন- প্রকল্পে বরাদ্দ যাতে কেউ জানতে না পারে, সেজন্যই সাইনবোর্ড বাঁধে আনেনি পিআইসির সংশ্লিষ্টরা। এটি বাঁধের কাজে ফাঁকিবাজির অনন্য নজির।
এদিকে, ২২ ফেব্রুয়ারি মাটি আর্টের দোকানে অনেক সাইনবোর্ড পড়ে থাকতে দেখা যায়। ২৮ ফেব্রুয়ারি বাঁধের কাজের সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এ ব্যাপারে বেশক’টি পিআইসির সভাপতির সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, কাজ শেষ করে সাইনবোর্ড নিব।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com