1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
সোমবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

তাহিরপুরে বাঁধের গোড়া থেকেই মাটি তুলে বাঁধ নির্মাণ!

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

রাজন চন্দ ::
তাহিরপুর উপজেলার হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের সময়সীমা আর মাত্র ৯দিন বাকি। অথচ এখনো অনেক বাঁধের কাজ অর্ধেকও সম্পন্ন করতে পারেনি ফসলরক্ষা বাঁধ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি)। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার শঙ্কা ছাড়াও হাওরের বিভিন্ন ফসলরক্ষা বাঁধে চলছে নীতিমালা বহির্ভূত কাজ ও অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, তাহিরপুর উপজেলার গুরমা বর্ধিতাংশের উপ প্রকল্পের কলমার হাওর ও কানামইয়া হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে ৪২ ও ২৯ নং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির ব্যাপক অনিয়ম ও অব্যাবস্থাপনার কাজ চলছে। উল্লেখিত বাঁধগুলো নির্মাণে এস্কেভেটর (মাটি কাটার যন্ত্র) দিয়ে বাঁধের গোড়া থেকেই মাটি কেটে চলছে বাঁধ নির্মাণকাজ।
কাবিটা নীতিমালা ২০১৭ অনুযায়ী বাঁধ নির্মাণকাজের মাটি বাঁধ হতে কমপক্ষে ১ কিলোমিটার দূর থেকে উত্তোলন করতে হবে। কিন্তু ৪২নং ও ২৯নং প্রকল্পের সদস্যরা বাঁধ হতে আনুমানিক ১০-১৫ ফুট দূর থেকেই মাটি উত্তোলন করে বাঁধের কাজ শুরু করেছে। এ নিয়ে গুরুমার হাওর সংশ্লিষ্ট কৃষকরা পাহাড়ি ঢলের সময় বাঁধ ভেঙে যাওয়ার দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ।
স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায় থেকে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে তোড়জোড় দেখালেও বাস্তবে ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে এ দুটি বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব প্রকল্পে গত দুই বছর ধরেই একই স্থানে বাঁধের একেবারে গোড়া থেকে মাটি উত্তোলন করার কারণে বাঁধের পাশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়াও বাঁধগুলো নির্মাণে দুরমুজের কাজ হচ্ছে না মোটেই। ফলে অনেকটা নিয়ম রক্ষার মতো কাজ চলছে এ বাঁধগুলোতে। বাঁধ নির্মাণকাজের নীতিমালাকে অনেকটা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েই কাজ করছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা।
গুরমার হাওরপাড়ের কৃষকদের অভিযোগ, প্রকৃত কৃষকদের বাঁধ দিয়ে যারা নামধারী কৃষক তাদেরকে বাঁধ নির্মাণকাজের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এসব নামধারী কৃষক সম্পৃক্ত হওয়ার কারণেই প্রতি বছর ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতিতে পর্দার অন্তরালে পরোক্ষভাবে জড়িত থাকা রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ভয়ে এসব নিয়ে কেউ কথা বলতেও রাজি হননি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষক।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ জানান, প্রতি বছর হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ যেন একটা লাভজনক মৌসুমী ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। এতে লাভবান হচ্ছে এক শ্রেণির সুবিধাবাদীরা।
স্থানীয় কৃষক পরিবারের অভিযোগ, রাজনৈতিক বলয়ের কারণে স্বার্থান্বেষীরা এ কাজে স¤পৃক্ত হচ্ছে, যার ফলে ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
উপজেলার শ্রীপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের লামাগাঁও গ্রামের কৃষক কিবরিয়া বলেন, যেভাবে বাঁধের গোড়া থেকে মাটি তুলে বাঁধ নির্মাণ কাজ হচ্ছে এতে বাঁধের মারাত্মক ক্ষতি হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, ৪২নং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি সদস্য সচিব আইকুল মিয়া বলেন, আমরা দূর থেকেই মাটি আনতেছি। এ সময় উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মী বাঁধের গোড়া থেকে মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে দেখালে উনি শ্রমিকদের নিষেধ করেন মাটি না কাটার জন্য।
২৯নং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে গত বছরও মাটি কাটা হয়েছিল বাঁধের গোড়া থেকে। দূরে মাটি নেই, তাই বাঁধের গোড়া থেকে মাটি কাটা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com