স্টাফ রিপোর্টার ::
টেংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও টেংরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সংবর্ধনা প্রদান ও প্রয়াত শিক্ষকদের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল দশটা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের টেংরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে দিনব্যাপী উৎসব মুখর আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
টেংরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রভাষক কামাল হোসেন ও শিক্ষক কামরুল ইসলামের যৌথ পরিচালনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ বীরপ্রতীকের সভাপতিত্বে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে টেংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং টেংরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ও সাবেক শিক্ষকদের মধ্যে অনুভূতি ব্যক্ত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম বীরপ্রতীক, ফরিদ উদ্দিন আহাম্মদ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, ইসহাক আলী, ফয়েজুর রহমান, বিনয় ভূষণ পুরকায়স্থ, সফির উদ্দিন, মোজাম্মেল হক, মো. শফিকুল ইসলাম, আব্দুল আওয়াল, মো. হাবিব উল্লাহ, ফাতেমা পাঠান, হেলেনা বেগম, বেগম নূরুন নাহার, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাকির হোসেন, শামসুল আলম, মো. অকিল উদ্দিন আহমেদ, মো. মশিউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন, সিরাজুল ইসলাম, সুরঞ্জিত দাস, ব্রজলাল দে, মো. আব্দুর রউফ, মো. মনিরুজ্জামান মানিক, আব্দুর রহমান, আব্দুল আওয়াল, ফয়সাল আহমেদ, আব্দুর রশীদ, শ্যামল চক্রবর্তী, মো. আনোয়ার হোসেন, হাসিনা মমতাজ, রুহুল আমিন খন্দকার, আবুল কালাম ইলিয়াস, আব্দুল্লাহ আল নোমান, আলমগীর হোসেন, আসাদুজ্জামান, তানজির হোসেন, মো. হারুনুর রশীদ। বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী মো. হারুনুর রশীদ, ইউএনও মাসুদ রানা, সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল রানা প্রমুখ।
এর আগে বিদ্যালয়ের সকল প্রয়াত শিক্ষক, দাতা ও উদ্যোক্তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত পরিচালনা করেন টেংরা বাজার জামে মসজিদের সাবেক ইমাম ও খতিব মাওলানা আনোয়ার শাহ।
বক্তব্যে বক্তারা বলেন, শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। টেংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও টেংরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে আজকের গৌরবজনক পর্যায়ে দাঁড় করাতে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই পর্যন্ত সকল শিক্ষক, দাতা সদস্য ও উদ্যোক্তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা না থাকলে এখানে প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো যেতো না। এলাকায় শিক্ষার বিস্তারে এই দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অপরিসীম ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। আগামী প্রজন্মকে জানাতে এই প্রতিষ্ঠান দুটির সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে। বক্তারা টেংরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে কলেজ পর্যায়ে উন্নীত করার দাবি জানান এবং আগামীতে নবীন-প্রবীণদের নিয়ে জমকালো আয়োজনে টেংরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।