বিশেষ প্রতিনিধি ::
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই সিলেটে আসছে করোনা ভ্যাকসিন। পর্যায়ক্রমে ১০ লাখের বেশি ভ্যাকসিন পাবে সিলেট বিভাগ। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ পাবে ৮ হাজার ৪০০ ভ্যাকসিন। আর টিকাদান কার্যক্রমের সুষ্ঠুভাবে স¤পন্নে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাথমিকভাবে আসা ভ্যাকসিন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাবেন ফ্রান্টলাইনার যুদ্ধাসহ ১৫ ক্যাটাগরিতে। এরমধ্যে সরকারি হাসপাতালে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় জড়িত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, বেসরকারি স্বাস্থ্যকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, সরকারি সচিবালয়ে, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, পৌর-সিটি করপোরেশনের সম্মুখসারির কর্মকর্তা-কর্মচারী, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, কবরখনন ও মৃত ব্যক্তির সৎকারকারীরা রয়েছেন এর আওতায়।
সিলেটের বিভাগীয় স্বাস্থ্য উপ পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান জানান, সিলেট বিভাগের জন্য প্রাথমিক অবস্থায় ৩৭ কার্টন ভ্যাকসিন আসবে। প্রতি কার্টনে ১২শ করে ভ্যাকিসিন থাকছে। এরপর ৪ কার্টন বাড়তি আসবে। সে হিসেবে প্রথম পর্যায়ে ৪৯ হাজার ২শ ডোজ টিকা পাচ্ছে সিলেট।
তিনি বলেন, প্রথম চালানে সিলেট বিভাগে আসা ৩৭ কার্টন ভ্যাকসিনের মধ্যে ৫ কার্টন মৌলভীবাজারে, ৬ কার্টন হবিগঞ্জে ও ৭ কার্টন যাবে সুনামগঞ্জে। বাকিগুলো সিলেট জেলার জন্য থাকবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২২৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ফ্রিজে টিকা রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। টিকা দানে প্রতিটি কেন্দ্রে ২জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ৪ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। টিকাদান পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে তার নেতৃত্বে চিকিৎসকের ৭ জনের একটি টিম থাকবে।
সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মো. শামস উদ্দিন জানান, সুনামগঞ্জে ভ্যাকসিন রাখার জন্য ইপিআই স্টোর প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের দুইজন ভ্যাকিসন প্রয়োগের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। উপজেলা পর্যায়ে সবকিছু প্রস্তুত করা হচ্ছে।
জাতীয় পরিকল্পনাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের নিবন্ধন হবে অনলাইনে। আর এজন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই করে নিবন্ধন করতে হবে অ্যাপে। রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পর কোন তারিখে নিবন্ধনকৃত ব্যক্তি টিকা পাবেন সেটা ফোনে এসএমএস দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এই ভ্যাকসিনের দুই ডোজ দেওয়া হবে। প্রথমে ডোজের ২৮দিন পর দ্বিতীয় ডোজ। আর প্রথম ডোজ দেওয়ার সময় ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের একটি করে কার্ড দেওয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডিস্ট্রিবিউশন পরিকল্পনায় দেখা গেছে, সিলেট বিভাগে ১০ লাখ ৩২ হাজার এক জনকে টিকা দেওয়া হবে। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ৫৪৫ জনকে, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৯ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৩ জনকে, রাজশাহী বিভাগে ১৯ লাখ ২৪ হাজার ৯২২ জনকে, রংপুর বিভাগে ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫৯ জনকে, খুলনায় ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪৬ জনকে এবং বরিশাল বিভাগে ৮লাখ ৬৬ হাজার ৯৯৪ জন টিকা পাবেন।