স্টাফ রিপোর্টার ::
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চলতি নদীর ডানতীর উপ-প্রকল্পের ডুবন্ত বাঁধের ভাঙা বন্ধকরণ, পুনরাকৃতিকরণ ও মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। তবে এই কাজ নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই এলাকাবাসী ও স্থানীয় কৃষকদের।
জানাযায়, গত বন্যায় এ বাঁধটি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উজান থেকে চলতিনদী হয়ে পানি নামতে থাকলে চলতি নদীর ডানতীর রামপুর থেকে ভাদেরটেক গ্রামের অধিকাংশ বাঁধভেঙে পানি খরচার হাওরের পতিত হয়। এ বাঁধের কাজে গুণগত মান মানা হচ্ছে না।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চলতি নদীর ডানতীর উপ-প্রকল্পের কি.মি. ১.৩৯৯ হতে ১.৫৫৩ কি.মি. ৩৭নং প্রকল্পে বাঁধের পাশ থেকেই বালি মিশ্রিত কাদামাটি বাঁধে ফেলা হচ্ছে। বাঁধের পাশে ফেলে রাখা একটি সাইন বোর্ড থেকে জানা যায়, সভাপতি মো. আব্দুর রশিদ, সদস্য সচিব ধন মিয়া। মোট বরাদ্দ ১৭ লক্ষ ৯৩ হাজার ৭৫ টাকা। মাটির পরিমাণ ৫ হাজার ৩ শ ২৭ ঘন মিটার।
অপরদিকে, ৩৮নং পিআইসি ১.৫৫৩ কি.মি. হতে ১.৭৭৭ কি.মি. বাঁধের বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২০ লাখ ৩৪ হাজার ২শ ১৩ টাকা। এখানে মাটির পরিমাণ ৬ হাজার ৭০ ঘন মিটার। ৩৮ নং প্রকল্প এলাকায় প্রায় ২০ গজ জায়গায় বালি স্তূপ করে রাখা হয়েছে। কোন সাইন বোর্ড না থাকায় বুঝা যাচ্ছিল না এটা পিআইসির কাজ কি-না। এরপর আব্দুল মন্নানের বাড়িতে গিয়ে সাইনবোর্ড পাওয়া যায়। সাইনবোর্ডে কাজ শুরুর তারিখ ১১ জানুয়ারি লিখা থাকলেও কাজ শুরু হয়েছে ২৫ জানুয়ারি। নিয়ম মোতাবেক কাজ ১৫ ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সাইনবোর্ডে লিখা আছে ২৮ ফেব্রুয়ারি।
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে বাঁধ পরিদর্শন করেন হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ স¤পাদক বিজন সেন রায়, সাংগঠনিক স¤পাদক একে কুদরত পাশা, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কমিটির সাধারণ স¤পাদক হাসান বশির, সদস্য নাছিমা আক্তার। পরিদর্শনকালে তারা বাঁধের কাজের অবস্থা দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সময় নেতৃবৃন্দ এলাকাবাসী ও কৃষকদের সাথে কথা বলেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, যেভাবে হাওর রক্ষা বাঁধ বালু মাটি দিয়ে করা হচ্ছে – এরকম বাঁধ নির্মাণ হলে বৃষ্টিতেই ভেঙে যাবে। তাতে এই বাঁধ হাওরের ফসলরক্ষায় কোন কাজে আসবে না।