স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নতুন করে যাচাই-বাছাইয়ের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেই কমিটিতে পূর্বের যাচাই-বাছাইয়ের সময় নীতিমালা লঙ্ঘন করে কমিটিতে স্থান পাওয়া ব্যক্তিদের না রাখার আবেদন করেছেন স্থানীয় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের নিকট এই আবেদন করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি গঠনের সময় তৎকালীন জেলা কমান্ডারকে নীতিমালা লঙ্ঘন করে সদর উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি রাখা হয়। প্রকৃতপক্ষে ওই সময় সদর উপজেলা কমান্ডারের দায়িত্বে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ। এছাড়াও জেলা কমান্ডারের প্রতিনিধি হিসেবে স্থান পাওয়া ব্যক্তি নিজেই যাছাই-বাছাইয়ের আওতাধীন থাকার পরও দল ভারী করার উদ্দেশ্যে পছন্দের ওই ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, তৎকালীন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডারের দায়িত্বে থেকে ওই ব্যক্তি সদর উপজেলা কমান্ডারের পদবী ব্যবহার করে ভুল তথ্য উপস্থাপন করে যাচাই-বাছাইয়ের নথিতে স্বাক্ষর করেছেন। সেইসাথে ২০১৭ সালে অসত্য তথ্য দিয়ে কমিটিতে স্থান পাওয়া ব্যক্তিদের বর্তমান কমিটিতে না রাখার আবেদন জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর বলেন, ২০২১ সনে বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটিতে অভিযুক্তদের না রাখার দাবিতে আমি লিখিত আবেদন দিয়েছি। নীতিমালা মেনে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে জেলার যে কোন স্থান থেকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির আবেদন জানিয়েছি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, যাচাই-বাছাই কমিটির অনুমোদন দেয় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার আবেদন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করব। তিনি আরও বলেন, চলতি বছর বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জামুকার নির্দেশনার বাইরে কোনওকিছু করা হবে না।