স্টাফ রিপোর্টার ::
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা প্রবোধ চন্দ্র রায়। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউনিয়নে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পাশাপাশি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে গণসংযোগ করছেন তিনি।
তাঁর সমর্থকরা জানান, প্রবোধ চন্দ্র রায় ১৯৬৬ সালে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে ছাত্র থাকাবস্থায় ছয় দফা দাবির সমর্থনে সকল কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সুনামগঞ্জের নানু মিয়া মুক্তার সাহেবের অধীনে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের অন্তর্গত মৈলাম রিক্রুটমেন্ট ক্যা¤েপ মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কমিটিতে ৪ মাস দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর ইউনিয়নের নির্যাতিত ও অবহেলিত কর্মীদের সংগঠিত করতে দিনরাত পরিশ্রম করেন। ১৯৭৬ সালে দ্বিতীয় বারের মতো ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন প্রবোধ চন্দ্র রায়।
আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রবোধ চন্দ্র রায় বলেন, বাংলা-বাঙালি ও বাংলাদেশের সকল সোনালী অর্জনে গৌরবান্বিত অংশীদার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী হয়ে জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়নের জন্য এবং আগামী দিনের সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ইউনিয়ন গড়ায় প্রত্যয়ে আমি ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চাই। আমি বিগত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না পাওয়ায় শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই। নৌকা আমার আজন্ম লালিত অনুভূতির নাম। নৌকা মানেই হৃদয়ে উদ্বেলিত বঙ্গবন্ধু তথা জননেত্রীর আস্থা ও শেষ ঠিকানা। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করতে চাই। আমি নির্বাচিত হলে ফতেপুর ইউনিয়নকে একটি আধুনিক মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলবো। আমি বিশ্বাস করি দল অবশ্যই আমাকে মূল্যায়ন করবে।