শাল্লা প্রতিনিধি ::
কোনোরকমে জোড়াতালি দিয়ে ছোট ভাঙা ঘরেই স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করেন শাল্লা উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের আঙ্গারোয়া গ্রামের বাসিন্দা দরিদ্র দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নিরঞ্জন দাস। থাকেন সরকারি জায়গার ১৪২৬ দাগে। কুকুর ও শিয়ালের দলের উপদ্রবও কম নয়। দুই বছর বয়সী নাতিকে নিয়ে এই অরক্ষিত অবস্থায় ভয়ও করে বলে জানান তিনি। ছোট-বড় মিলিয়ে এই জরাজীর্ণ কুঁড়েঘরে ৫ জনের বসবাস। এই গ্রামের ১০জন প্রতিবেশী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়েছেন। ইট উঠেছে প্রতিবেশী ব্রজলাল মেম্বারের ভাইয়ের বাড়িতেও। নতুন এই পাড়ায় যারা সরকারি ঘর পেয়েছেন – তাদের সবার চেয়ে তিনি গরীব বলেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নিরঞ্জন দাস। খুবই কষ্টে দিন কাটে নিরঞ্জন দাসের। একমাত্র ছেলে নিহার দাস কৃষিশ্রমিক। তার রোজগারেই কোনো রকমে চলে সংসার। এমন একজন অসহায়ের ভাগ্যে জুটেনি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর।
নিরঞ্জন দাস বলেন, সবার বাড়িতে পল্লী বিদ্যুতের বাতি জ্বললেও, আমার বাড়িতে বিদ্যুৎ নাই। আমার সামর্থ্য নাই বিদ্যুৎ আনার। হাওরে একটু জমিও নাই।
এ ব্যাপারে বাহাড়া ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান রামানন্দ দাস বলেন, নিরঞ্জন দাস একেবারেই অসহায়। ঘর দিতে হলে সবার আগে তো তাকেই দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরূপ সরকারি ঘরের অধিকার থেকে দরিদ্র নিরঞ্জন দাস বাদ যাবে এটি মেনে নেওয়া যায় না।
সুখলাইন গ্রামের সবিনয় দাস বলেন, নিরঞ্জন দাস গরীব মানুষ। তাকে ঘর দেওয়া দরকার।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সর্দার ফজলুর করীম বলেন, খুবই দুঃখজনক ঘটনা। পরিবারটির এই অবস্থা দেখে আমার কান্না আসছে। কিন্তু আমার হাতে ক্ষমতা নেই ঘর দেওয়ার। তবে তিনি ঘর পাওয়ার উপযুক্ত।
অন্যদিকে আশ্রয়ণ প্রকল্প ২-এর ঘর পেয়েছেন ওই ওয়ার্ডের মেম্বারের বড় ভাই। এ ব্যাপারে বাহাড়া ইউপির ১নং ওয়ার্ড সদস্য ব্রজলাল দাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে এই প্রতিবেদককে হুমকি দেন।