স্টাফ রিপোর্টার ::
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি নারীনেত্রী আয়শা খানম স্মরণে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, সুনামগঞ্জ জেলা শাখা।
স্মরণসভায় শোকবার্তা পাঠ করেন সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া। আয়শা খানম স্মরণে সংগীত পরিবেশন করেন মিতালী চক্রবর্তী ও মৃত্তিকা চক্রবর্তী।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শরীফা আশরাফী শম্পার সঞ্চালনায় ও সভাপতি গৌরী ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন নারীনেত্রী শীলা রায়, কমরেড রমেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরির সহ-সভাপতি সুখেন্দু সেন, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. মলয় চক্রবর্তী রাজু, জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের মিয়া প্রমুখ।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, নারী আন্দোলনের বাতিঘর আয়শা খানম। নারী আন্দোলনের মাধ্যমে মানবমুক্তির পথ দেখিয়েছেন। তিনি সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্চার। মৌলবাদ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আন্দোলনে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন এই নারীনেত্রী। যে প্রেরণা যুগ যুগ পথ দেখাবে ধর্মান্ধ মৌলবাদের বিরুদ্ধে। একজন আলোকিত মানুষ আয়শা খানমের আদর্শ নারী মুক্তির পথ দেখাবে।
বক্তারা আরও বলেন, আয়শা খানম যে আদর্শ রেখে গেছেন, তার এই আদর্শ ছড়িয়ে দিতে হবে। সমাজে যদি এই আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়া যায়, তাহলে এই যে বিধ্বস্ত সমাজ, এই অবস্থা থেকে জাতিকে উত্তরণ করা যাবে।
বক্তারা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আয়শা খানমের অবদান রয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে যে আন্দোলন হয়েছে, সেখানে জাতিকে সংগঠিত করতে তার বড় ভূমিকা রয়েছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করে গেছেন। মৌলবাদী চক্রের বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্চার।
স্মরণসভায় নারীনেত্রী আয়শা খানমের জীবনবৃত্তান্ত পাঠ করেন জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শরীফা আশরাফী শম্পা।