স্টাফ রিপোর্টার ::
দিরাই পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করে দুইজন শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বর্তমান মেয়র ও আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত মোশারফ মিয়া এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিএনপি নেতা আব্দুল কাইয়ুম স্থানীয় রাজনীতিসহ সামাজিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত। এই দুইজন দলীয় প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জ করে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় নানা হিসেব-নিকেষ চলছে। শেষ পর্যন্ত এই দুইজন প্রার্থী বহাল থাকলে দলীয় প্রার্থীদের ভোটব্যাংকে টান পড়বে বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বিশ্বজিৎ রায় ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে এই দুই শক্তিশালী বিদ্রোহী প্রার্থীসহ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, জাতীয় পার্টি এবং দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানান, মোশারফ মিয়া দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকায় তার নিজস্ব ভোটব্যাংক তৈরি হয়েছে। একটি হত্যা মামলায় আসামি থাকার কারণে দলীয়ভাবে মনোনয়ন পাননি তিনি। তাই দলীয় প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। একইভাবে দিরাইয়ের রাজনীতিতে সবসময় আলোচিত পরিবার আব্দুল কাইয়ুমের পরিবার। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদান ও সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যতার কারণে তাদের আলাদা সুনাম রয়েছে। আব্দুল কাইয়ুম মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় বীর যোদ্ধা। বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে মনোনয়ন লাভের চেষ্টা করলেও তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। যে কারণে তিনিও বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির এই দুই বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে চ্যালেঞ্জে পড়তে পারেন দলীয় মনোনীত প্রার্থীরা। তবে অন্য যে চারজন প্রার্থীর মধ্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মনোনীত হাফিজ মাওলানা লোকমান আহমদ, জাতীয় পার্টি মনোনীত অনন্ত মল্লিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিক মিয়া ও রশিদ মিয়া নির্বাচনে মূল লড়াইয়ে থাকতে না-ও পারেন বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন বাছাইয়ে দুই বিদ্রোহী প্রার্থী টিকে গেলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীকে বেকায়দায় পড়তে হবে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা জানিয়েছেন নির্বাচনে প্রতীক ফ্যাক্টর। প্রার্থী যতই আলোচিত হোননা কেন শেষ মুহূর্তে প্রতীকের কাছে অসহায় বলে মনে করেন তারা।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিশ্বজিৎ রায় বলেন, উন্নয়নের জোয়ার চলছে দেশে। জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরছেন। সেই উন্নয়নের প্রতীক নৌকা তিনি আমাকে দিয়েছেন। দলের সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে মুখিয়ে আছেন।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশে যে গণতন্ত্রহীনতার চর্চা চলছে তার থেকে বেরিয়ে আসতে জনগণ ধানের শীষকে বিকল্প মনে করছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে কেউ বিজয় আটকাতে পারবে না।