স্টাফ রিপোর্টার ::
শাল্লা উপজেলায় এক হতদরিদ্রের স্ত্রীকে স্থানীয় এক প্রভাবশালী কর্তৃক তিন দফা ধর্ষণচেষ্টার পরও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে সুনামগঞ্জে। শনিবার বেলা ২টায় সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নির্যাতিতার পরিবার এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে।
পরিবারের অভিযোগ, গত ২১ নভেম্বর গভীর রাতে মদ খেয়ে আনন্দপুর গ্রামের প্রজেশ দাস ঘরের বেড়া ভেঙে একই গ্রামের ওই হতদরিদ্রের স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। কিন্তু নির্যাতিতা ও তার শাশুড়ি চিৎকার করলে পালিয়ে যায় সে। একইভাবে ১৮ নভেম্বরও মদ্যপ অবস্থায় ওই নারীর সাথে অশালীন আচরণ করে সে। এছাড়া ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর ওই হতদরিদ্রের স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায় প্রজেশ।
পরিবার জানায়, প্রভাবশালী প্রজেশ দাস কর্তৃক বার বার ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েও থানায় গিয়ে কোনপ্রকার প্রতিকার পায়নি নির্যাতিতার পরিবার। দুই দফা লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও তাদের মামলা রেকর্ড করেনি শাল্লা থানা পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগ, শাল্লা থানার উপ-পরিদর্শক সেলিম মিয়া মামলা রেকর্ডের জন্য নির্যাতিতার পরিবারে কাছে ১০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। এ সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে পরিবারে সদস্যরা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে দেখা করলে ‘পরিবারকে খারাপ’ বলে ওসিকে জানান সেলিম। পরে তার সম্মন্ধে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করায় নির্যাতিতার পরিবারকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন তিনি।
এ ব্যাপারে শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, নির্যাতিতা তার এজাহারে যাদেরকে সাক্ষী করেছেন তাদের কেউই অভিযোগের পক্ষে সাক্ষী না দেওয়ায় আমরা তার অভিযোগ রেকর্ড করতে পারছি না। তারপরও পরিবার যেহেতু তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে, তাই আমরা বিষয়টি অন্য একজন অফিসারকে দায়িত্ব দিয়ে এ বিষয়ে তদন্ত করাব।
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্ত প্রজেশ দাস মদ খেয়ে মাতলামি করে, তার সত্যতা আমরা পেয়েছি। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।