বিশেষ প্রতিনিধি ::
সুনামগঞ্জের ফাজিলপুর, যাদুকাটা, ধোপাজান, সেলা-সহ সাতটি বালুমহালের কোনোটিই সরকার থেকে ইজারা না দেওয়ায় জেলায় বালু উত্তোলন, বিপণন ও পরিবহন অবৈধ বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। আগামীতে এমন বেআইনি কাজের সাথে কেউ জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, বিপণন এবং নদী খালের তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকল্পে সচেতনতা বৃদ্ধি’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেছেন।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, চলতি বছরে সরকারের পক্ষ থেকে জেলার কোনো বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়নি। তারপরও বিভিন্ন স্থানে অসাধু ব্যক্তিরা পরিবেশের বিপর্যয় ঘটিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে। আমরা এজাতীয় বেআইনি বিষয়ে কোনপ্রকার ছাড় না দিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছি। বালুমহাল এলাকায় মানুষ চলাচলের নৌযান ব্যতীত কোন নৌযান চলাচল করতে দেওয়া হবে না। সেইসাথে জেলার নদী তীরবর্তী জায়গায় যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সেগুলো উচ্ছেদ করতে বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করব।
আগে থেকে মজুদ করা বালু বিক্রি করতে হলে ক্রয় সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হবে বলে জানান তিনি।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মাকসুদুল আলম, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রাহমান, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. শামছুন নাহার বেগম শাহানা রব্বানী, পরিবেশ আন্দোলন নেতা অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম, দৈনিক সুনামকণ্ঠ সম্পাদক বিজন সেন রায়, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু প্রমুখ।
সভায় প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।