1. [email protected] : admin2017 :
  2. [email protected] : Sunam Kantha : Sunam Kantha
  3. [email protected] : wp-needuser : wp-needuser
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন
ঘোষণা ::
সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় সর্বাধিক পঠিত পত্রিকা সুনামকন্ঠে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের পাশে থাকার জন্য সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন - 01711-368602

টানা বৃষ্টিতে আমনের ক্ষতি

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জে আমনচাষীদের পিছু ছাড়ছেনা প্রাকৃতিক দুর্যোগ। পরপর তিনটি বন্যা শেষে টানা বৃষ্টির কারণে এবছর প্রায় একমাস বিলম্বিত হয়েছে আমনচাষ। তবে এখনো টানা বৃষ্টিতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় নিমজ্জিত হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে আমন ক্ষেত। গত ১৫-১৭ সেপ্টেম্বর টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে চতুর্থ বারের মতো পানি বৃদ্ধি পায় সুনামগঞ্জে। তাহিরপুর-দোয়ারাবাজার ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় এসময় নিমজ্জিত হয় অধিকাংশ আমনক্ষেত। তিনদিনের টানা বর্ষণ শেষে প্রখর রোদের কারণে নেতিয়ে পড়ে আমনক্ষেতে লাগানো নতুন ধান। এতে নষ্ট হয়ে গেছে ক্ষেত। তাছাড়া বিলম্বিত চাষের কারণে এবছর কাঙ্ক্ষিত ফলন হবেনা বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পরপর তিন বন্যার কারণে এ বছর প্রায় একমাস বিলম্ব হয়েছে আমনচাষের। গত ১৫ সেপ্টেম্বর বিলম্বিত সময় শেষ হয়েছে। ওই সময় পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৮১ হাজার ৩৯৫ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। প্রথম বন্যায় সরকারি হিসেবে ৫৯ হেক্টর জমির বীজতলা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা বলা হলেও বাস্তবে এরচেয়ে দ্বিগুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে আরও দুই বন্যায় বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যার কারণে প্রায় একমাস নিমজ্জিত ছিল আমন ক্ষেত। ফলে যথাসময়ে ধান লাগাতে না পারায় বিলম্ব হয় আমন চাষ। কোনমতে টানা বৃষ্টির মধ্যে আমনচাষ শেষ করতে পারলেও রুদ্র প্রকৃতির কারণে স্বস্তিতে ছিলেন না চাষীরা। এরমধ্যে প্রায় প্রতিদিনই গুড়ি গুড়ি ও ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর তিনদিন টানা ভারি বৃষ্টিপাতে পানি বৃদ্ধি পায়। এতে বিভিন্ন উপজেলায় সদ্য রোপণ করা আমনক্ষেত ডুবে যায়। কাঁচা ধান ডুবে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েন কৃষক। সরকারি হিসেবে ওইসময়ে ৬০ হেক্টর জমির আমন ধান নিমজ্জিত হয়েছে বলা হলেও কৃষকরা জানিয়েছেন নিমজ্জিত ক্ষেতের পরিমাণ প্রায় হাজার হেক্টর হবে। ওইসব জমিগুলো সদ্য রোপণ করার সাথে সাথে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা প্রখর রোদের কারণে নিমজ্জিত ওইসব ক্ষেত দ্রুত ভেসে গিয়ে শুকিয়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে ধানের চারা। যার ফলে ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে। অনেক কৃষকের ক্ষেত একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের, সদর উপজেলার গৌরারং, রঙ্গারচর, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পলাশ, ধনপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের চাষীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রাজাই গ্রামের আদিবাসী নেতা এন্ড্রু সলোমার বলেন, গত সপ্তাহের টানা বর্ষণে আমার তিন একর আমন জমি নিমজ্জিত হয়েছে। সদ্য লাগানো এই ক্ষেত ডুবে গিয়ে পানির সঙ্গে মিশে গেছে। আবার প্রখর রোদের কারণে দ্রুত পানি নামায় ধানের চারা মাটির সঙ্গে মিশে একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। এবার আমনচাষ মাটি হয়ে গেছে আমার।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান বলেন, জমি থেকে পানি নামতে প্রায় একমাস সময় লেগেছে। একমাস পরে ক্ষেতে ধান লাগানোর পর আবারও বৃষ্টিতে ডুবে গেছে সেই ধান। এখনো পানিতে নিমজ্জিত আছে। এই ক্ষেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাবে বলে জানান তিনি। এবার আমনচাষীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে জানান তিনি।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সফর উদ্দিন বলেন, পরপর তিন বন্যার কারণে এবছর সুনামগঞ্জে আমনচাষ প্রায় একমাস বিলম্বিত হয়েছে। এ কারণে এ বছর ফলন কিছুটা কমবে। তবে কাক্সিক্ষত চাষ হয়েছে এবার। সম্প্রতি টানা বৃষ্টির কারণে এখন কিছু ক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। এতে কিছু ক্ষতি হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

© All rights reserved © 2016-2021
Theme Developed By ThemesBazar.Com