স্টাফ রিপোর্টার ::
স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জেলাবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মতিউর রহমান।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তিনি শুভেচ্ছা জানান।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার রৌজগার্ডেনে এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়।
মতিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের সহপাঠী মোল্লা জালালের আমার ঢাকার বাসায় আসা-যাওয়া ছিল। তাঁর কাছ থেকে শুনেছি, বঙ্গবন্ধু ছাত্রজীবনেই দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর চিন্তা করতেন। একবার সহপাঠীদের নিয়ে পলাশীর ময়দান দেখতে গেলেন বঙ্গবন্ধু। বিকাল হলে সবাই উঠতে চাইলে বঙ্গবন্ধু বললেন, না পলাশীর ময়দানে বসে সূর্যাস্ত দেখব, যেই ময়দানে বৃটিশদের কাছে পরাজিত হয়ে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল।
মোল্লা জালালের কাছ থেকে শুনে মতিউর রহমান বলেন, ১২ জুন আওয়ামী লীগ গঠনের পূর্বনির্ধারিত তারিখ বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে মাওলানা ভাসানী পরিবর্তন করে ২৩ জুন নিয়ে যান। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন যেই দিন বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত গিয়েছিল সেইদিনটিতেই আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়ে স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনুক।
তিনি বলেন, ২৩ জুনের কমিটিতে মাওলানা ভাসানী সভাপতি, শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক, খন্দকার মোশতাক প্রথম যুগ্ম সম্পাদক, অলি আহাদ দ্বিতীয় যুগ্ম সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধুকে তৃতীয় যুগ্ম সম্পাদক করার কথা থাকলেও মাওলানা ভাসানী বাকি দুই জনকে পেছনে ফেলে বঙ্গবন্ধুকে প্রথম যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব দেন। সেই শত্রুতা গিয়ে গড়ায় ১৫ আগস্ট জাতির জনককে সপরিবারে হত্যার হৃদয়বিদারক ঘটনায়।
মতিউর বলেন, ২৩ জুন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। এই দিনে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ বপন হয়। কাজেই আমাদেরকে এর তাৎপর্য অনুধাবন করে নিজেকে মুজিব আদর্শের প্রকৃত সৈনিক হিসেবে গড়ে তোলতে হবে।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক এই দিনটিতে আমি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং জেলাবাসীকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাই।