স্টাফ রিপোর্টার ::
দিরাইয়ে বাউল শাহ আব্দুল করিমের শিষ্য বাউল রণেশ ঠাকুরের আসরঘর দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ার ঘটনায় তার পাশে সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।
রোববার দিবাগত রাত ১ টার দিকে উপজেলার উজানধল গ্রামের বাউল রণেশ ঠাকুরের বাড়ির আসর ঘরে আগুন লেগে ঘরটি সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়ে যায়।
বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত বাউলকে ঢেউটিন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। রণেশ ঠাকুরকে নতুন ঘর নির্মাণ এবং বাদ্যযন্ত্র প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি। সেইসাথে বাউল শাহ আবদুল করিমের ছেলে শাহ নূরজালালকে বাউল গানের আসরঘর নির্মাণের জন্য পাঁচ বান্ডিল ঢেউটিন ও ১২ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বিপিএম, দিরাই উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সফি উল্লাহ প্রমুখ।
রণেশ ঠাকুরের ঘরে অগ্নিসংযোগে জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেন পুলিশ সুপার।
উল্লেখ্য, দিরাই উপজেরলার উজানধল গ্রামের মোহন চক্রবর্তী কীর্ত্তনীয়ার দুই ছেলে রুহী ঠাকুর এবং বাউল রণেশ ঠাকুর বাউল সাধক শাহ আব্দুল করিমের অন্যতম একনিষ্ঠ অনুসারী। ৫৫ বছর বয়সী বাউল রণেশ ঠাকুরের বাড়ি শাহ আব্দুল করিমের বাড়ি সংলগ্ন। বাড়ির আসরঘরে নিয়মিত বাউলগানের চর্চা হত। দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ঘরে থাকা বাধ্যযন্ত্র এবং সঙ্গীত বিষয়ক বিভিন্ন পুস্তিকাও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। রোববার রাত দেড়টার দিকে প্রতিবেশীদের চিৎকারে বাড়ির এবং আশেপাশের মানুষজন সজাগ হয়ে দেখেন আসরঘরটি পুড়ে যাচ্ছে। আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও রক্ষা ঘরটি রক্ষা করা যায়নি। বাউল রণেশ ঠাকুর আগুন দেওয়া নিয়ে কাউকে সন্দেহ করেননি।