স্টাফ রিপোর্টার ::
করোনা ভাইরাসের কারণে সন্ধ্যা ৭টায় দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তের আওতা বহির্ভূত থাকতে রাতারাতি স্টেশনারি, প্রসাধনী ও ক্রোকারিজ সামগ্রীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে মুদিদোকানে পরিবর্তন করায় আলোচনায় এসেছেন পৌরশহরের ডিএস রোডের এক ব্যবসায়ী।
মেসার্স মাছুম ট্রেডার্স নামের ওই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মালিকের ‘অতি চালাকি’ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা করতে দেখা গেছে অনেককে।
জানা যায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দোকান ছাড়া বাদবাকি দোকানপাট ও বিপণিবিতান বন্ধ রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের পর মাছুম ট্রেডার্স সার্বক্ষণিক খোলা রাখার জন্য সবকিছু আগের মতো ঠিকঠাক রেখে দোকানের প্রবেশমুখে পেঁয়াজ, রসুন, আলুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের পসরা সাজিয়ে রাখেন দোকান মালিক তৌহিদুর রহমান মাছুম।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক আমির আলী জানান, শহরের ডিএস রোডে অবস্থিত ‘মেসার্স মাছুম ট্রেডার্স’ এর জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে ‘স্টেশনারি’ কোটায় পৌরসভা থেকে লাইসেন্স (নম্বর ৩৯৫) নিয়েছেন দোকান মালিক তৌহিদুর রহমান নিয়েছেন।
শহরের তেঘরিয়া এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আম্মার নামে একজন ফেসবুকে দোকানের ছবি দিয়ে লিখেন, ‘সন্ধ্যা ৭ টার পর ফার্মেসী এবং মুদি দোকান ব্যতীত সকল দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা হয়েছে। সেই সুবাদে আমাদের সুনামগঞ্জের সুপরিচিত গিফট-শপ মাছুম ট্রেডার্সের প্রবেশপথ এখন মুদির দোকান। আপনাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদিসহ আলু, পেঁয়াজ, শাক-সবজি সবকিছুই এখন পেয়ে যাবেন এখানে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, ‘সন্ধ্যা ৭টার পর দোকান খোলা রাখার সুযোগ নিতে কিছু ব্যবসায়ী রাতারাতি ব্যবসার ধরন বদলে নিয়েছেন। বিষয়টি আমাদের নজরে এসছে। আমরা এগুলো এলাও করবো না।’
অভিযোগের ব্যাপারে মেসার্স মাছুম ট্রেডার্সের মালিক তৌহিদুর রহমান মাছুম বলেন, গত ছয় মাস ধরে আমি এই ব্যবসা করে আসছি। তারপরও প্রশাসন থেকে নিষেধ আসলে বন্ধ করে দেব।