স্টাফ রিপোর্টার ::
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৮-তে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সবাইকে প্যানেল গঠনের মাধ্যমে নিয়োগের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনায় সুনামগঞ্জে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্যানেল বাস্তবায়ন কমিটি সুনামগঞ্জের উদ্যোগে সোমবার সকালে শহরের আলফাত স্কয়ারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে জেলার ২০১৮-এর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা অংশগ্রহণ করেন।
সুনামগঞ্জ প্যানেল বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কমিটির সহ-সভাপতি পলি রানী দাস, দপ্তর সম্পাদক আলমগীর হোসেন, তাহিরপুর উপজেলা প্যানেল প্রত্যাশী এম এ সাদ্দাম, জগন্নাথপুর উপজেলা প্যানেল প্রত্যাশী রিপন আহমেদ, অশোক রঞ্জন দাস, জিকু চন্দ্র দাস, সরস্বতী দাস, শাল্লা উপজেলার প্যানেল প্রত্যাশী রতন কুমার দাস, দেবব্রত প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা প্যানেল গঠনের মাধ্যমে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০১৮তে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সবাইকে অবিলম্বে নিয়োগের দাবি জানান। মুজিববর্ষকে সামনে রেখে মহান ভাষার মাসে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
বক্তারা বলেন, রিট জটিলতার কারণে ২০১৪ থেকে ১৮ সাল পর্যন্ত প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগে কোন সার্কুলার হয়নি। যদিও বর্তমানে চরম শিক্ষক সংকট বিদ্যমান। দীর্ঘদিন পর প্রাথমিক সরকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০১৮তে অংশ নেয়া ২৪ লাখ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মাত্র ৫৫ হাজার ২৯৫ জন উত্তীর্ণ হয়; যা মোট প্রার্থীর মাত্র ২.৩%। অথচ এর মধ্যে মাত্র ১৮ হাজার ১৪৭ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বাকি ৩৭ হাজার মেধাবীদের বাদ দেয়া হয়। অথচ বর্তমানে প্রাথমিকে প্রায় ৪০ হাজারের উপরে শূন্যপদ রয়েছে। আমাদের নিয়োগ বঞ্চিত করায় শিক্ষিত বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে চলতে হচ্ছে। এর মধ্যে অনেকের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা শেষ হওয়ায় এটাই ছিল তাদের শেষ সুযোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ইতোমধ্যে মুজিববর্ষে কেউ বেকার থাকবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তাই মুজিববর্ষ উপলক্ষে এই ৩৭ হাজার মেধাবীদের প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ দিতে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।