স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অধীন সিভিল সার্জন কার্যালয়, সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল, বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীরা ৮ মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। বেতন-ভাতার দাবিতে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি পালন করেন তারা।
কর্মসূচি চলাকালে আউটসোর্সিংকর্মীরা দীর্ঘ ৮ মাস ধরে বেতন-ভাতা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অবিলম্বে বেতন-ভাতা পরিশোধ না করলে কঠোর আন্দোলনের পাশাপাশি আইনী লড়াই করারও হুঁশিয়ারি দেন তারা। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মী আমিরুল ইসলাম, আলী হাসান, ইউসুফ আলম, রহুল আমিন, আব্দুল হাই, সালমা বেগম, দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটসোর্সিং কর্মী বাণী চক্রবর্তী, হাসান আলী, ছাতক উপজেলা হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মী নূরুল ইসলাম সুমন, শুক্লা দেবনাথ, কৈতক হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মী সৈয়দ ফয়সল আহমদ লোকমান, জামালগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মী ইসাক আলী, তাহিরপুর হাসপাতালের আউটসোর্সিং কর্মী মিজানুর রহমান, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুবায়েল আলম প্রমুখ।
জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন ২০১৯ সালের মে মাসের প্রথম দিকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ ১১ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্থায়ী ২৩৪ জন আউটসোর্সিং কর্মী নিয়োগ দেয় অনেস্ট সিকিউরিটি সার্ভিস নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নিয়োগের পর একটি উৎসব ভাতাসহ দুইমাসের বেতন দেয়া হয় কর্মীদের। কোনো কোনো উপজেলায় এক মাসের বেতন দেয়া হয় বলে জানা যায়। এরপর থেকে টানা ৮ মাস বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন আউটসোর্সিং কর্মীরা।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানাযায়, দাপ্তরিক ও প্রশাসনিক জটিলতার কারণে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থ ছাড় না হওয়ায় সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জেও আউটসোর্সিং কর্মীদের ভেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে নতুনভাবে তথ্য পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই জটিলতার নিরসন হবে।
সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন বলেন, আউটসোর্সিং কর্মীদের বিষয়টি সম্পর্কে আমরা আন্তরিক। আজকেও মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রীর সাথে এ নিয়ে আলাপ করেছি। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি তথ্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে এর সমাধান হবে।