গতকালের দৈনিক সুনামকণ্ঠের একটি সংবাদ শিরোনাম ছিল, ‘আজ থেকে শুরু হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ॥ বড়পাড়া থেকে শুরু হবে উচ্ছেদ’। কোথা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে আর কোথায় শেষ হবে সেটা কোনও বড় কথা নয়, বড় কথা হলো উচ্ছেদ শুরু হচ্ছে এবং উচ্ছেদ শুরু হলেই বুঝা যাবে প্রকৃতপক্ষে কী হচ্ছে। বেশ ক’বছর আগে সুনামগঞ্জে আর একবার উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছিল কামার খাল উদ্ধারের সদিচ্ছা নিয়ে, কিন্তু সেটা পূর্ণ হতে পারেনি, মাঝপথে অজানা কারণে থমকে গিয়েছিল এবং আজও থমকেই আছে। সকল মহলের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে এবারের উচ্ছেদ অভিযান আগের বারের মতো থমকে যাবে না।
কে বা কারা কোথায় কী পরিমাণ জায়গা অবৈধ উপায়ে দখল করে আছে, সে সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যসংবাদ সাধারণত সব সময়ই আমজনতার অগোচরেই থেকে যায়, সেটা ভালো করে জানেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। কিন্তু তারা তাঁদের অলিখিত নিয়মানুসারে এইসব দখলকৃত জায়গাজমি উদ্ধারে সকল সময়ই অনভিমুখি থাকেন। আমজনতার চোখে দৃশ্যমান হয়, শহরে যাওয়া-আসার পথের ধারের পুকুরগুলো কারও কর্তৃক দখল হয়ে গেলে। লোকেরা অতি সহজেই বুঝতে পারেন, পুকুরটা দখল হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু এ সব ব্যাপারে জনসাধারণ সাধারণত তেমনভাবে প্রতিবাদী হয়ে উঠেন না, দেখে না দেখার ভান করেন। যেমন শহরের নাভীকেন্দ্রে অবস্থিত কালিবাড়ি পুকুরটি ধীরে ধীরে দখল হয়ে যাচ্ছে, পুকুরটির কিনারা ভরাট করে করে বাসাবাড়ির স্থায়ী অংশ করে নেওয়া হচ্ছে কিংবা স্থানবিশেষে গড়ে তোলা হচ্ছে স্থায়ী দোকানকোঠা। এবার উদ্ধার অভিযান শুরুর শুরুতেই শহরের সাধারণ মানুষ ও বিদগ্ধজনদের স্বাভাবিক দাবি এই যে, যে-সব ক্ষেত্রে এইভাবে পুকুর ও খাল দখল করা হয়েছে সেগুলো উদ্ধার করা হোক।