স্টাফ রিপোর্টার ::
দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রতন কুমার দাস তালুকদারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রদান করেছেন পরিষদের সদস্যরা। গত ২৮ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শফি উল্লাহ বরাবরে পরিষদের ১১ সদস্যদের স্বাক্ষরিত অনাস্থাপত্রটি দাখিল করা হয়। পরিষদের সদস্যদের অভিযোগ- বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, ভিজিডি, ভিজিএফ, মাতৃত্ব ভাতা ওয়ার্ডভিত্তিক বণ্টনকালে চেয়ারম্যানকে সদস্যদের ঘুষ দিতে হয়। কাবিখা, টিআর কর্মসূচি প্রকল্পের কাজে চেয়ারম্যানকে অগ্রিম ১৫-২০% টাকা প্রদান করতে হয়, এলজিএসপির কাজ চেয়ারম্যান একক ক্ষমতাবলে ৩০-৩৫ শতাংশ স¤পন্ন করে পুরো টাকা উত্তোলন করে সচিবের সহযোগিতায় আত্মসাৎ করে আসছেন এমন অভিযোগ আনেন পরিষদের সদস্যরা। এছাড়াও গৃহহীনদের জন্য সরকারি ঘর বিতরণে ঘরপ্রতি চেয়ারম্যান ১০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন সদস্যরা।
তারা অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, পরিষদের নিয়মিত বৈঠক না ডেকে চেয়ারম্যান ইচ্ছেমতো সদস্যদের স্বাক্ষর নিয়ে পরিষদ পরিচালনা করে থাকেন। ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স থেকে অর্জিত আয়ের হিসাব-নিকাশ সদস্যদের অবগত না করে অধিকাংশ টাকা আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান।
এ ব্যাপারে ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য চন্দন কুমার তালুকদার, ৫নং তপন ভৌমিক, ৭, ৮, ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা মমতাজ বেগম এই প্রতিবেদককে জানান, চরনারচর ইউপি চেয়ারম্যান একজন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার সুবাদে দায়িত্ব পাবার পর থেকে আমাদের সাথে বৈষম্য দেখিয়ে আসছেন। আমরা আওয়ামী ঘরানার সমর্থক হওয়ায় তিনি আমাদের পাত্তাই দেন না। সরকার প্রদত্ত জনকল্যাণমূলক সকল বরাদ্দ বণ্টনে ন্যায্যতা দাবি করলে তিনি আমাদের প্রকল্প না দেবার ভয়-ভীতি দেখিয়ে বলেন, তার হাত অনেক লম্বা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে কেউ কিচ্ছু করতে পারবেন না।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান রতন কুমার দাস তালুকদারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শফি উল্লাহ বলেন, এখনও অভিযোগের ডাক খুলিনি। আগামীকাল (আজ রোববার) অভিযোগটি দেখে কপিটি যথাযথ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দেব।