স্টাফ রিপোর্টার ::
জননেতা আব্দুজ জহুর আমৃত্যু জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে ত্যাগের রাজনীতি করেছেন। রাজনীতির প্রকৃত একজন ঈমানদার হিসেবে তিনি সততার সঙ্গে জনকল্যাণের রাজনীতি করে অমর হয়ে আছেন। সংসদ সদস্যের ভাতা থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ব্যয় নির্বাহ করেছেন। সৎ ও নির্লোভ রাজনীতিক আব্দুজ জহুরকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। আব্দুজ জহুর স্মারকগ্রন্থ কিছুটা হলেও নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের প্রেরণা দিবে।
শনিবার সন্ধ্যায় শিল্পসাহিত্যের সংগঠন বিরাঙ আয়োজিত ও নাগরী প্রকাশিত রনেন্দ্র তালুকদার পিংকু এবং সাংবাদিক শামস শামীম সম্পাদিত আব্দুজ জহুর স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
কবি ইকবাল কাগজীর সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক শামস শামীমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আব্দুজ জহুর স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মতিউর রহমান।
বক্তব্য দেন জেলা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরুল হুদা মুকুট, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, পৌর মেয়র নাদের বখত, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম শামীম, অ্যাড. শফিকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবীর ইমন, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হায়দার চৌধুরী লিটন প্রমুখ।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো বলেন, আব্দুজ জহুর সততার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন বলেই তাকে মূল্যায়ন করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জননেতা আব্দুজ জহুরকে স্মরণ করে সুরমা নদীতে নির্মিত সেতু তাঁর নামে নামকরণ করেছেন। বক্তারা আরো বলেন, আব্দুজ জহুর শিক্ষকতার মধ্য দিয়ে জীবন শুরু করে প্রথম যৌবন থেকেই প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চা করেছেন। আমৃত্যু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে তৃণমূলে আওয়ামী লীগকে বিস্তৃত করে গেছেন। নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের আব্দুজ জহুরের মতো সততা, ত্যাগের রাজনীতি চর্চার আহ্বান জানান।