দিরাই প্রতিনিধি ::
দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের সেচনী গ্রামে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর আধিপত্যের জের ধরে সংঘর্ষে নিজ বাড়ির উঠানে খুন হওয়া এরশাদ মিয়ার (৩৫) স্ত্রী দীর্ঘ এক বছর পর ভাসুরসহ স্বজনদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরের দিন নিহতের বড়ভাই মতিউর রহমান বাদি হয়ে একই গ্রামের আবুল কালামসহ ৩৮ জনকে আসামি করে দিরাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ২২জন আসামি জেল খাটেন। দুই জন এখনো কারাগারে রয়েছেন।
এদিকে, মামলা দায়েরের এক বছরের মাথায় এরশাদ পতœী আছমিনা গত ২০ অক্টোবর ভাসুর মতিউর রহমানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে তার স্বামী হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনে সুনামগঞ্জের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলেন সে মামলার সাক্ষী ছিলেন ওই গ্রামের আবুল কালাম ও তার ছেলেসহ আত্মীয়রা। ঘটনার দিন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন আবুল কালামের বাড়িতে হামলা চালালে স্বামী তাদের বাধা দেন। স্বজনদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে এরশাদ মিয়াকে খুন করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। তিনি বলেন, শ্বশুরপক্ষের লোকজনের নজরদারিতে থাকায় ও তাদের হুমকির কারণে এতদিন সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে পারিনি তিনি। সুযোগ পেয়ে আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করেন এই নারী।